বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের সফলতার গল্প এখন দেশি-বিদেশ ছড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে হরহামেশায় প্রকাশিত হয়। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নত বিশ্বে দেশের নাম সমুজ্জ্বল করেছেন এমন নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা এখন আর হাতেগোনা নয়। প্রায়ই দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন অনেক চেনা অচেনা স্বপ্নজয়ী নারী উদ্যোক্তা। আজকের উদ্যোক্তার এই সংবাদটি নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্মানের।
কথা বলছিলাম নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের মেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন মুক্তার সাথে, গল্পের শুরুটা আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই৷ উদ্যোগের পথে হাটতেই সমাজের চোখ রাঙানি সামলে এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ৷ কিন্তু ফারহানার কাছে সেই চ্যালেঞ্জের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সাফল্যের চূড়ায় ওঠার এক দীর্ঘ স্বপ্ন যাত্রা। দীর্ঘ ১৩ বছর দেশে ব্যবসা করার পর আজ বেশ কয়েক বছর ধরে ফারহানার তৈরি “সাত রঙ” এর পণ্য যাচ্ছে আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে৷
ফারহানার পোষাক বর্তমানে সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও যাচ্ছে। প্রতি মাসে বিদেশে ফারহানার পণ্য শিপমেন্ট হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ পিস্। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপানে বিভিন্ন প্রবাসীরা অনলাইন এ ফারহানার “সাত রঙ” এর পণ্য অর্ডার করে থাকে। এই সমস্ত বিদেশের বাজারে ফারহানা তাঁর পণ্যের কোয়ালিটির দিকটা সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করে থাকেন। দেশের বাইরে প্রতিটি অর্ডার গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য ফারহানা যথেষ্ট সময় নিয়ে তৈরি করে থাকেন, যাতে ভবিষ্যতে বিদেশের বাজারে “সাত রঙ” এর একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থান তৈরি হতে পারে। বর্তমানে দেশের বাজারে “সাত রঙ” প্রতিমাসে ৫থেকে ৬ হাজার পিস প্রোডাকশন তৈরি করে বাজারজাত করে থাকে। “সাত রঙ” এর পণ্য সমূহের মধ্যে সুতির শীতের শাল, মোম বাটিক, টাই-ডাই উল্লেখযোগ্য।
বিদেশে “সাত রঙ” এর পণ্য সরবরাহের অনুভূতি জানতে চাইলে উদ্যোক্তা ফারহানা বলেন- “বিদেশের বাজারে “সাত রঙ” এর একটি বড় বাজার তৈরি করতে পারলে আমার দেশে আমি অবহেলিত নারী-পুরুষের কাজের সংস্থান করতে পারবো এই প্রত্যাশা করি। উদ্যোক্তা ফারহানা মুক্তা তার সকল পণ্য নিজস্ব কারিগর দিয়ে তৈরি করিয়ে থাকেন এবং পুরোটাই স্বদেশীয় পণ্য। যেহেতু আমি সুশিক্ষিত ও একজন ডাক্তারের সহধর্মিনী আর তাই সমাজের আশপাশের লোকজনের কটু কথা ছিল সঙ্গী। তবে আমার হাসব্যান্ডের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় আজ আমি এই অবস্থানে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা