ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সময়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ও করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এবং কাঁচাবাজারের চাহিদা পূরণ করতে কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে সেনাবাজার ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী (চাউল, আটা, তৈল, লবণ, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি) সম্বলিত সেনাবাজারের আয়োজন করে এক হাজার পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে এ বাজার হতে দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করার পাশাপাশি ২০০ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান উদ্যোক্তা বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, দেশে বিরাজমান লকডাউন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিকট থেকে সেনাসদস্যরা সরাসরি সবজি ক্রয় করে এই বাজারে নিয়ে আসেন। ফলে অসহায় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে উপকৃত হয়েছে। স্থানীয়দের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে বিবেচিত সেনাবাহিনীর এই কার্যক্রম যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে অসহায় এবং প্রান্তিক আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য রামু সেনানিবাসসহ দেশের অন্যান্য সকল সেনানিবাসের পক্ষ হতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলায় গত ২৪ মার্চ থেকেই মাঠে রয়েছে ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা। তারা টহল কার্যক্রমসহ করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণ করছেন।
এছাড়া, নিজেদের রেশন বাঁচিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী কর্মহীন অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর হাতে তুলে দিচ্ছেন। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাঁধ পুনর্নির্মাণে স্থানীয়দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য এসকল এলাকায় সেনাবাহিনীর ১০টি মেডিক্যাল টিম গত বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে কাজ করছে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা