ভীষণ বড় অফিস নিয়ে শুরু করতে হবে, অনেক বড় জায়গা প্রয়োজন, দরকার মিটিং রুম, দরকার আনইন্টারাপটেড ওয়াই ফাই, নাহ অনেক বড় অফিস রেন্ট করবার দরকার হবে না। দুই তরুণী উদ্যোক্তা মিলে সাজিয়ে দিয়েছেন এক দারুণ অফিস, যা কিনা পুরো ২২০০ স্কয়ার ফিট জায়গার উপর ১৯০০ স্কয়ার ফিটের একটি অফিস এবং সেখানে অফিস করতে পারবেন ৪০ জন।
আপনি একজন তরুণ, আপনার অফিসের জন্য অনেক অনেক জায়গা খুঁজছেন, হতে পারে আপনি একা কিংবা হতে আপনার রয়েছে ২-৩ জনের একটি টিম। আপনি ‘মোড়’ কো-ওয়ার্কিং স্পেসে আপনার ডেস্ক রেন্ট নিতে পারেন ঘণ্টা হিসেবে, সপ্তাহ হিসেবে কিংবা মাস হিসেবে। এখানে মিলবে সব সুবিধা, অফিস ডেস্ক, টেবিল, সুবিশাল নয়নাভিরাম পরিবেশ কিংবা একটি গ্র্যান্ড কনটেম্পোরারি অফিসের আউট লুক। আসবে আপনার সাথে আপনার ক্লায়েন্ট, মিটিং করতে তৈরি আপনি?
আছে মিটিং রুম, আছে এক্সক্লুসিভ মিটিং রুম, কনফারেন্স রুম। করতে পারেন ওয়ার্কশপ কিংবা ইভেন্টও। সব কিছুতে মনে হবে আপনি আছেন আপনার অফিসে। আপনার অফিসটি লন্ডনের সেন্ট্রাল হাউজ চ্যাম্পস ফরটিতে কিংবা অ্যামেরিকার সিলিকন ভ্যালি স্যান্ড হিল রোডে অথবা সিংগাপুরের অর্চারড রোডের কোনো হাইলি ডেকোরেটেড একটি অফিসে। অফিসটির মালিক আপনি তবে আপনি তা রেন্ট করছেন, মাসে আপনি রেন্ট পে করছেন। দুই উদ্যোক্তার স্বপ্ন ‘মোড়’ দিচ্ছে সব ফ্যাসিলিটি আপনার অফিসের।
মিটিং এ যখন কেউ আসেন তখন ‘মোড়’ পরিবার পরিবেষণ করেন ঠিক আপনার অফিসটি, চা কিংবা কফি। এসিতে বসে কিংবা প্রকৃতি দেখতে দেখতে সবুজ গাছের সামনে কাঁচ ঘেরা কিংবা বনানীর ব্যস্ততম রোডের টুংটাং বা হর্নের কোনো শব্দের মাঝে আপনার নিজেস্ব অফিসের পথচলা। আপনি একজন নতুন তরুণ উদ্যোক্তা, স্টার্টআপ বিজনেস নিয়ে শুরু করবেন আপনার পথচলা, আপনার অফিস, অনেক টাকার চিন্তা না করে, মাথা নষ্ট না করে বা গরম না করে, আপনি সোজা চলে যেতে পারেন। দুই উদ্যোক্তার স্বপ্ন ‘মোড়’ এ।
উদ্যোক্তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে রেন্ট করতে পারেন আপনার অফিস শুরু করতে পারেন আপনার পুরো একটি অফিস জীবন। ওপেন অফিস কনসেপ্টে, ন্যাচারাল লাইটস, গাছ-পালা দিয়ে সাজানো, ন্যাচারের সাথে কর্পোরেট বিল্ডিং এর অফিস করা, এমনটিই করছেন নাবিলা নওরিন এবং নাহিদ শারমিন দুই উদ্যোক্তা, দু’জন আর্কিটেক্ট।
ভেবেছেন কাজ বা কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে, একটু ব্রেক নিলে, হাসি-খুশি, মন থাকলে সবচেয়েতে বেশি কর্মক্ষমতা সেখান থেকেই আসে। রয়েছে নির্জন জায়গা। একটু মন খারাপ হলে নির্জন জায়গায় বসে একটু প্রিয় জনের সঙ্গে কথা বলা অথবা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেয়া আবার এসে কাজে যোগ দেয়া, সব আছে এখানে। ‘ভীষণ একা’ একটি সফটওয়্যার তৈরি করছেন যেমন, দুই তিন জনের টিম নিয়ে করছেন অফিস। বাংলাদেশের স্বনামখ্যাত কোম্পানির টিম এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মানুষজন। কৃষিপণ্য যেমন কাজ করছেন কেউ নিয়ে এমনি সারা বিশ্বের সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কাজটিও সারছেন মোড়ে বসেই।
বর্তমানে অনেক তরুণ তাদের এই অফিসটি নিজের অফিস মনে করেই কাজ করছেন, রেন্ট করছেন অফিস। নাবিলা নওরিন ও নাহিদ শারমিন তাদের দুজনার উদ্যোগ ‘মোড়’ ঘুরিয়ে দিচ্ছে অনেক তরুণের জীবনের ‘মোড়’।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা