২০১৬ সালে মাত্র ডিপ্লোমা শেষ করে কাজের খোঁজে যাওয়ার পরিবর্তে জীবনের নতুন মোড়ে পথচলা শুরু করেন মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান তরফদার। শুটকি ছিল তার অন্যতম প্রিয় খাদ্যদ্রব্য। তাই সেটিকেই পুঁজি করে উদ্যোগ নিলেন এবং জীবনের মহাসড়কে এগিয়ে গিয়ে হয়েছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। গড়ে তুলেছেন ‘সি ফ্রেস বাংলাদেশ’।
শুটকি নাম শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটু বিকট গন্ধযুক্ত শুকনো বা শুকনো-লবণাক্ত মাছের কঙ্কাল শরীর। শুটকি উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন প্রতিটি ধাপে এই দুর্গন্ধ থাকলেও তার খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ অসাধারণ ও অসামান্য। যেখানে সাধারণ জনগণ দেখেন সমস্যা, সেখানে উদ্যোক্তারা দেখেন সম্ভাবনা।
উদ্যোক্তা তার পরিচিত এক আত্মীয়ের সাথে একযোগে পূর্ণ উদ্যোমী হয়ে কাজ শুরু করলেন। প্রথম ধাপে শুটকিগুলো সংগ্রহ করে সেগুলো প্যাকেটজাত করণের মাধ্যমে পথচলা শুরু। এরপর তাঁরা পণ্যগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মানোন্নয়নে মনোনিবেশ করেন।
ধীরে ধীরে পণ্যের বাজারজাত-করণে বেশ সাড়া আসে। এখন ‘সি ফ্রেশ বাংলাদেশ’ এর পণ্য চারটি সুপার শপে নিয়মিত পাওয়া যায়। দেশসেরা এই সুপার শপগুলো হলো স্বপ্ন, আগোরা, মেহেদি মার্ট এবং পিক এন্ড পে। উদ্যোক্তার স্বপ্নের প্রথম ধাপ সফল হয় যখন তিনি দেখেন সুপার শপগুলোতে তাঁর পণ্য ক্রেতারা কিনছে এবং বেশ পছন্দ করছে।
২০১৯ সালে এসএমই পণ্য মেলায় এসে প্রথম সরাসরি ক্রেতা দর্শনার্থীদের কাছাকাছি আসেন মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান তরফদার ‘সি ফ্রেশ বাংলাদেশ’ নিয়ে। প্রত্যেকের প্রশংসা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর পণ্যের গুণগত মানের ফিডব্যাক সরাসরি পেয়ে তিনি যেমন আনন্দিত তেমন উচ্ছ্বসিত।
বর্তমানে উদ্যোক্তা সাইফুজ্জামান পরিকল্পনা করছেন দেশের বাইরে পণ্য রপ্তানি নিয়ে। উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি বলেন, আমার মনে হয় দেশের মানুষ যখন আমার পণ্য পছন্দ করে তখন দেশের বাইরেও আমার পণ্যের কদর অবশ্যই থাকবে। উদ্যোক্তার প্রত্যাশা তিনি দেশের বাইরে পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা