মানসম্মত শতরঞ্জি তৈরি করতে পারলে বাজারজাতকরণ সহজ হবে পাশাপাশি নিজেদের স্বাবলম্বী করা যাবে বলে জানিয়েছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিসিক শিল্প নগরীতে শতরঞ্জি শিল্পের উন্নয়ন রংপুর-২য় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় ৩ টি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন নীলফামারী বিসিক শিল্প নগরীতে দুই মাসব্যাপী ৬০জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে শতরঞ্জি প্রশিক্ষণ কোর্সগুলির সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। পরে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

এ সময় প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত যুগোপযোগি ও এটি জেলার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ জেলার কুটির শিল্পে সহায়ক উন্নয়ন ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও মানসম্পন্ন শতরঞ্জি তৈরী করতে পারলে বাজারজাত করণে যেমন সহজতর হবে তেমনি নিজেদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। বাজারজাত করণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ নীলফামারীতে শতরঞ্জি পল্লী গড়ে তোলার ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

এব্যাপারে শতরঞ্জি প্রকল্পের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল বাকী জানান, প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের জন্য এই প্রকল্পটি অনুমোদন করেন। প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫% সহজ সুদে তাদেরকে ঋণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, নীলফামারীতে এই প্রশিক্ষণে তিনটি কোর্স পাটের সুতা দ্বারা শতরঞ্জি তৈরী, মকমল ও কটন সুতা দ্বারা শতরঞ্জি তৈরী এবং মকমল, কটন ও পাটের সুতা দ্বারা ট্যাপেস্ট্রি তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই কোর্স ২ মাস মেয়াদী। কোর্সে ৬০জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৪৫জন মহিলা ও ১৫জন পুরুষ।

এই প্রকল্পের আওতায় এর আগে এই জেলায় দুই দফায় ১৮০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রতি প্রশিক্ষণার্থীকে কোর্স শেষে নগদ ১৪ হাজার টাকা ও ৬ হাজার টাকা মূল্যের শতরঞ্জি তৈরীর পিটলুম যন্ত্র ও সনদ প্রদান করা হয়।

জানা যায়, নীলফামারীসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে শতরঞ্জি তৈরীর প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া দুই হাজার ৭৭৫ জন এই শিল্পের বিকাশে বড় সহায়ক হবে।

নীলফামারী বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক হুসনে আরা খাতুনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, শতরঞ্জি প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্মকর্তা বিসিক রংপুরের উপ ব্যবস্থাপক এহছানুল হক, কোর্স সমন্বয়কারী সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর কর্মকর্তা নুরুল হক, প্রকল্পের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল বাকী , সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি হামিদুর রহমান।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here