দেশে ফার্নিচার খাতের বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকার। তবে কর সহায়তা এবং দক্ষতা বাড়ানো গেলে বিশ্ববাজারের বড় অংশ দখলে নিতে পারে বাংলাদেশ। ফার্নিচার খাত নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বিষয়ে এক সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা।
উদ্যোক্তা বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএসই ফাউন্ডেশনের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশ্বেও ৪৮ হাজার ৭০ কোটি ডলারের ফার্নিচারের বাজারের ৩১ দশমিক ৭ ভাগই চীনের দখলে। ২০২৫ সালে বিশ্বে ফার্নিচার খাতের বাজার হতে পারে ৬৫ হাজার ৪৬০ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরে মাত্র ৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের ফার্নিচার রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির শূন্য দশমিক এক আট ভাগ। তবে ইতিবাচক দিক হল গত অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ বাড়লেও ফার্নিচার রপ্তানি বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫২ ভাগ। আর ২০২২ সালে দেশের ফার্নিচার রপ্তানি ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন গবেষকরা।
তাদের মতে, কর কাঠামো পুনর্বিবেচনা, উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা, আলাদা ফার্নিচার শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠা, ভ্যাট কাঠামো সহজ করা এবং এই খাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে চীনের দখলে থাকা ফার্নিচার বাজারের একটা বড় দখলে নিতে পারে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শাহীন আনোয়ার। গবেষণা পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসাইন, ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল।
ফার্নিচার খাতের শীর্ষ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফার্নিচার খাতের সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মতামত নিয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা