ব্যবস্থাপনা বিভাগ হতে তিনি বিবিএ এবং সাউথ ইস্ট থেকে এমবিএ শেষ করে পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় চাকুরিতে যোগদান করেছিলেন। পড়াশুনা শেষ করে কর্পোরেট হবে ছেলে, এই ছিল সকলের প্রত্যাশা। আর সেই প্রত্যাশাকে শাণিত করতে নিজের ইচ্ছা বা স্বপ্ন সবকিছুকে ভুলে পরিবারই পেলো প্রাধান্য।

দেশের স্বনামধন্য টেলিযোগাযোগ মাধ্যম গ্রামীণফোনে দীর্ঘ দশ বছর চাকুরি করলেন। কাজের ভীড়ে সব মিললেও, মিললো না মনের প্রশান্তি। বছরের পর বছর পেরোলেও মন কিছুতেই সায় দিলো না চাকুরিতে। মনের এক কোণে বহুদিন থেকে ইচ্ছা ছিল নিজে কিছু করার। যা হবে পরিবেশ বান্ধব এবং যে কাজের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ কে তুলে ধরতে পারবেন নিজের দীপ্তিতে।

ইচ্ছা থেকে শুরু হলো পথচলা। পরিবেশ যাতে দূষণ না হয় এই বিষয় কে মাথায় রেখে কাজ শুরু করলেন নারিকেল খোল দিয়ে। পন্য তৈরির পাশাপাশি ঝিনুক দিয়েও বিভিন্ন পন্য তৈরি করে যাচ্ছেন। সবচেয়ে আকর্ষণীয় পন্য হলো বাংলাদেশ এর সোনালি আঁশ পাটের তৈরি বিভিন্ন পন্য। যার মধ্যে অন্যতম পাটের তৈরি বিভিন্ন রং এবং বিভিন্ন সাইজের শতরঞ্জি।

এই উদ্যোগ এর জন্য যে শুধু উদ্যোক্তা নিজের স্বপ্ন পুরন করেছেন তা কিন্তু নয়। তৈরি করেছেন ত্রিশ জন মানুষের কর্মসংস্থান। নিজের পরিবারকে করেছেন আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল। সাহানা ক্রাফটস এর পথচলা শুরু হয়েছে বছর খানেক আগে। এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সুলতানুল আরেফিনের সাহানা ক্রাফটস।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিসিকের মেলা বা অন্যান্য মাধ্যমে সাহানা ক্রাফটস এর পন্য পৌঁছে যাচ্ছে। করোনার সংকটকালে যে যুবক তার উদ্যোগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্থানীয় বাজারকে ছাড়িয়ে সারাদেশের পণ্য বিস্তৃতিতে ছড়িয়ে যেতে পারে তার উদ্যোগ এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর। এখন আর নেই পরিবারের কোনো বাড়তি চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত। এখন স্বপ্নপাণে ছুটে চলা উদ্যোগ নিয়ে অবিরাম ছুটছেন স্বপ্নবাজ।

তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here