করোনাভাইরাসের ক্ষতি মোকাবেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ শতাংশ হারে এর সুদ দিতে হবে, যার ৪ শতাংশ সুদ ঋণগ্রহিতা প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিবে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, উদ্যোক্তারা কি ভাবে এই ঋণ পাবেন এবং ব্যাংকের-ই বা কি কি সহজ পন্থা অবলম্বন করতে হবে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে।
এ প্রসঙ্গে কিছু মতামত দিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা পেতে যাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা যেন সহজেই এ ঋণ পেতে পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা জরুরী। এছাড়াও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জামানত দেওয়ার মতো সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে জামানতবিহীন ঋণের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে”।
এসএমই উদ্যোক্তাদের টাকাটা যে পদ্ধতির মধ্যে দেয়া হবে সেটা সহজীকিকরণ করতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যারা আছে তাদের কাছে তিনি মতামত শেয়ার করবেন এমনটাই জানান তিনি।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যেন প্রণোদনা জামানতবিহীন পেতে পারে সে বিষয়ে জোর দিয়ে সফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা এসএমই সেক্টরের সব বিষগুলোই তুলে ধরবো। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ পাওয়া সহজ করতে জামানত ছাড়াই ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাই এ ঋণের টাকাও যেন জামানতবিহীন পায় সে বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবনা থাকবে”।
ছোট উদ্যেক্তাদের ব্যাংকের প্রতি একটা ভীতি কাজ করে, ফরমাল ব্যাংকে তারা ভয় পায় তাই অনু উদ্যোক্তাদের অনেককেই মহাজনি সুদ নেয়। এতে দেখা যায় তাদের লাভের একটা বড় অংশই সুদ দিতে দিতে যায়। এখান থেকে বের করতে হবে তাদের। তাই গ্রামীন এলাকার অনু উদ্যোক্তারা কীভাবে এর সুফল পাবে সে বিষয়েও তিনি বলেন, “গ্রামে ব্যাংকের শাখা কম থাকে। গ্রামীন উদ্যোক্তাদেরকে এক্সেস দিতে হলে কীভাবে দেয়া হবে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্যাংকিং ডিভিশনকে সিমপ্লিপিফাই করে দিতে হবে”।
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে সার্বিকভাবে একটা প্রস্তাবনা পাঠানো হবে জানিয়ে সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব বিষয় তথ্য উপাত্ত করে, আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তুলে ধরবো আমাদের প্রস্তাবনাগুলো। এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের কর্মীদের বেতন ব্যাংকিং চ্যানেলে দিতে পারে না এটা তাদের একটা বৈশিষ্ট। এ জন্যই তারা ক্ষুদ্র। এই জন্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের শুধু আর্থিক সুবিধাই নয়, তাদের মনিটরিং করাও দরকার।’
আর প্রণোদনার গাইডলাইন তৈরি করার আগে যেন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে নেয়া হয় সেবিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিবো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করে যেন গাইডলাইন ফাইনাল করে”।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা