৩০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু, এখন মাসেই বিক্রি লাখ টাকা

0
উদ্যোক্তা আশা

২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে একটা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেন আশা। শুরুতে তার মূলধন ছিলো মাত্র ৩০ হাজার টাকা। টাঙ্গাইলের তাঁতের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, ঢাকাই জামদানী শাড়ি, হ্যান্ডব্লক এবং স্ক্রিনপ্রিন্টের শাড়ি, খাদি শাড়ি জায়গা করে নিয়েছে তার উদ্যোগে।

ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় উদ্যোক্তার ১০ জন কর্মী আছে। অনলাইনে তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘নিটোল’। দেশের মধ্যে সব জেলাতেই তার পণ্য যায়। মাসে প্রায় ৫০-৭০ হাজার টাকার পণ্য তৈরী করেন যেটা সেল হয় ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়।

নিজে কিছু করার চিন্তা থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠা। দেশী পণ্যেকে দেশে এবং দেশের বাইরে তুলে ধরার জন্য তার এই উদ্যোগ। টিএসসিতে তিনি নিটোলের পণ্য প্রদর্শনী করেন যার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা তার পণ্য ক্রয় করতে পারেন।

তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা জানান, ‘নিটোলকে একটা বড় ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। দেশের বাইরেও নিটোলের পণ্য ছড়িয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমার।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের তার পরামর্শ হলো, ‘যেকোনো উদ্যোগ নেয়ার আগে সেই বিষয় নিয়ে আগে রিসার্চ করে নিতে হবে। গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক এসব জায়গায় একটু খোঁজাখুঁজি করলেই অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তাই বর্তমান সময়ে তরুণরা অনলাইনে অনেক সময় দেন।তাই তারা চাইলে অনেক কিছু জানতে পারে এবং উদ্যোক্তা জীবন শুরু করতে পারে।’

উদ্যোক্তা আশার বাবা চাকুরীজীবি মা গৃহিণী। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। বড় হয়েছেন ঢাকা ও গাজীপুর দু’ জায়গাতেই। উত্তরবাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাকলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পার করেছেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।

মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here