বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘২২তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’, ‘২০তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো’ এবং ‘৪২তম ডাই+ক্যাম বাংলাদেশ ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ নামে সিরিজ অফ এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণের উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন বলেন, বর্তমান সরকার দক্ষ, স্মার্ট ও প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পোষাকখাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। এজন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। ইতোমধ্যে, সরকার ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী বস্ত্রখাতের সকল অংশীজনদের নীতি সহায়তা প্রদান করছে। আমি আশা করি, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত আরও আধুনিক,উন্নত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সর্বদা ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে উদার ব্যবসায়িক নীতি অনুসরণ করছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বন্দর সুবিধা উন্নতকরণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিশ্চিত করণে কাজ করছে। দেশের মানুষ তার সুফল ইতোমধ্যে ভোগ করছে।
তিনি বলেন, পোষাকখাতের ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহুমুখীকরণ করে রফতানির বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশের রপ্তানিখাত অনেক উন্নতদেশের চেয়ে অনেক ভালো করেছে। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য থেকে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আমাদের আরও শক্তিশালী করতে সরকারের ধারাবাহিকতা জরুরি। যাতে করে আমরা ২০৪১ সাল বা তারও আগে উন্নত দেশে পৌঁছাতে পারি।
প্রদর্শনীতে ২,২৪৫ এর অধিক বুথসহ ৩৭টি দেশের প্রায় ১,৬৭৫টিরও বেশি কোম্পানি প্রতিনিধিত্ব করছে। এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল মেশিনারি, ইয়ার্ন, ফ্যাব্রিক, ট্রিমস, অ্যাকসেসরিজ, ডাইস্টাফ এবং টেক্সটাইল কেমিক্যালসসহ সর্বাধুনিক টেক্সটাইল পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সমগ্র টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য অত্যাধুনিক এবং নিত্য-নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এটি একটি ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই প্রদর্শনীগুলো টেক্সটাইল শিল্প সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক নির্মাতাদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ প্রদান করছে যা প্রতিযোগিতামূলক অ্যাপারেল সোর্সিংয়ের বিশ্ব বাজারে লাভজনক লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আয়োজকদের অভিমত।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ এর টেক্সটাইল সিরিজের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো ‘ইনোভেশন অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি’ প্রদর্শন করা। যেহেতু টেক্সটাইল শিল্পকে ক্রম-পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় সেহেতু এই প্রদর্শনীগুলি সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব উপকরণগুলি প্রদর্শনের জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ.এইচ.এম. আহসান, বস্ত্র অধিদপ্তর, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতি: সচিব) মোঃ নূরুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি, আইন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) মোহাম্মদ আনয়ারুল আলম। অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা