১৬০ উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ

0

দেশীয় ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির মিশেলে আন্তর্জাতিক মানের বিলাস পণ্য প্রস্তুত করতে ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। দুই বছর মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বুধবার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) সহ-উপাচার্য আইয়ুব নবী খান ও বিজিএমইএ পরিচালক নীলা হোসনা আরা প্রমুখ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) প্রোগ্রাম। এ ছাড়া একই অনুষ্ঠানে একটি নতুন হেরিটেজ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ সভাপতি। এই ওয়েবসাইটে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য, অনন্য নকশাশৈলী, কারুশিল্প, বয়নকৌশল, তাঁতিদের সম্পর্কে তথ্য ও তাদের ব্যক্তিগত গল্প তুলে ধরা হবে।

বিজিএমইএ জানিয়েছে, প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইনার, উদ্ভাবক ও স্থানীয় তাঁতি আছেন। প্রশিক্ষণে তাদের শেখানো হয়েছে কীভাবে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির মিশেলে বিলাসী পোশাক বানানো যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের সময় তারা ফিউশন পণ্যের কিছু প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের জামদানি, মসলিন ও সিল্ক ব্যবহার করে ব্রাইডাল ওয়্যার, ইভিনিং গাউন, পার্টি ড্রেস ইত্যাদি তৈরি করা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমাদের অমূল্য স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী টেক্সটাইল যুক্ত করে (ফিউশন) বিলাসবহুল আধুনিক ফ্যাশনের সংজ্ঞা বদলে দিতে পারি। যদি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী ফেব্রিক ব্যবহার করে উচ্চ মূল্যের ফ্যাশন উপযোগী পোশাক তৈরি করা যায়, তাহলে রপ্তানি বাজারে পণ্য বৈচিত্র্যের আরও সুযোগ তৈরি হবে।’

ফারুক হাসান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের খাদি, মসলিন ও স্থানীয় ঐতিহ্যের মোটিফ, যেমন শাপলা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, রিকশা পেইন্ট ইত্যাদি তুলে ধরতে আরও দুটি পৃথক প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিজিএমইএ। স্থানীয় ডিজাইনারদের প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ইআইএফ কর্মসূচির আওতায় এর আগে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, কৃষি, চামড়া ইত্যাদি খাতে কাজ করলেও পোশাকশিল্পে এটি প্রথম কর্মসূচি। এই ধারণা সাম্প্রতিক ও উদ্ভাবনমূলক হওয়ায় প্রক্রিয়াটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে সফলতার সঙ্গে এটি শেষ করা গেছে।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here