ইচ্ছা ছিল নিজে কিছু করবেন। স্বামী, সংসারের দায়িত্বের পাশাপাশি ২০১৯ সালে জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করা শুরু। সেসময় মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা ব্যবসায় বর্তমানে প্রতি মাসেই আয় করছেন কমপক্ষে ৮০ হাজার টাকা।
ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার দত্তের কাপাষহাটিয়া গ্রামের উম্মে সারবিনা সাবানার জামদানি শাড়ি ছিল স্বপ্নের মতো ছিল। তাই তিনি নিজ উদ্যোগেই বেছে নিয়েছেন এ পণ্য।
জামদানি আমার সিগনেচার পণ্য জানিয়ে উদ্যোক্তা বললেন, থ্রি পিস, টু-পিস, পাঞ্জাবি, ওয়ান পিস নিয়ে কাজ করছি। তাছাড়া কেউ যদি আমাকে তার পছন্দের জামদানি অর্ডার করেন, আমার তাঁতিকে দিয়ে আমি করিয়ে দেয়। আর বাচ্চাদের জন্য জামদানি লেহেঙ্গা তৈরি করে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি।
পাশাপাশি আমি টাংগাইলের শাড়ি-থ্রি পিসও রাখছি আমার উদ্যোগের সাথে। গত শীতে শাল বিক্রিতে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। এই শীতেও শালের পরিকল্পনা আছে।’
উদ্যোক্তার ফেসবুক পেইজের নাম ‘সারবিনা’স স্টোর’। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে জামদানি পণ্য রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তা সারবিনা।
দেশের মধ্যে ৬৪ জেলাতেই তার পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে। জামদানী পণ্য যেহেতু খুব এক্লুসিভ তাই খুব বেশি পণ্য স্টকে রাখেন না। শুরুতে খুব একটা সাড়া না পেলেও উইয়ের কল্যাণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে ভালো একটা পার্সোনাল ব্যান্ডিং তৈরি করতে পেরেছেন। এখন বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। প্রতিমাসে ৮০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করছেন উদ্যোক্তা সারবিনা।
জামদানি পল্লীতে নিয়মিত যাতায়াত করেন উদ্যোক্তা সারবিনা। তাঁতি ভাইয়েরাও তার প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। জামদানি তাঁতিদের জন্য ভবিষ্যতে অনেক কিছু করবার ইচ্ছা আছে তার।
জামদানির স্বপ্নযাত্রা সম্পর্কে উম্মে সারবিনা সাবানা উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি কাজ করতে পছন্দ করতাম। মাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতাম। আর বিয়ের পরপরই সন্তান হওয়ার কারণে সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতে হবে সেটা আমার নেশায় পরিণত হয়ে গেলেও নিজে কিছু একটা করতে হবে, নিজের একটা আলাদা পরিচয় থাকতে হবে। সেটা সব সময় আমার মধ্যে কাজ করতো। আর জামদানিকে আমি পছন্দ করতাম সব সময়। মোট কথা জামদানি আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল।’
সাইদ হাফিজ
উদ্যোক্তা বার্তা, খুলনা