করোনা মহামারীর মধ্যে মানুষের জীবন যাত্রা যেমন থেমে গেছে তেমনি বেকার হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। যার একটি বড় অংশ তরুণ-তরুণী। তবে করোনার মধ্যে অনেকে নিজেকে ভিন্ন পরিচয়ে তুলে ধরেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে হয়ে ওঠেছেন উদ্যোক্তা। আবার অনেকে হয়েছে উদ্যোক্তাদের বিক্রিত পণ্য ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে শুরু করেছেন ডেলিভারি সেবা। আর এভাবেও অনেক তরুণ-তরুণী নাম লিখিয়েছেন সেবা খাতের উদ্যোক্তা হিসেবে।

এবার হোম ডেলিভারিতে নাম লেখানো নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী শুরু হয়েছে হোম ডেলিভারি ইভেন্ট। দু’দিনব্যাপি এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে তরুণীদের জন্য। আজ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। রবিবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ১০ টা পর্যন্ত। সান প্রিমিয়াম ঘির সহযোগীতায় এ মেলার আয়োজন করেছে মেহেদি ফুড কর্ণার ৩০০ফিট রাস্তা, এ্যারাবিক কফি শপ।।

সেবা খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়ে ভিন্ন ধারার এমন মেলার আয়োজক উদ্যেক্তা সাদিয়া আলম ও রামিসা মালিহা। তারা জানান, ১২ জন নতুন নারী উদ্যোক্তার নিজস্ব উদ্ভাবনী চিন্তা থেকেই তাদের হাতের চিত্রশিল্প, বুটিকস, মেকাপের বিভিন্ন ধরণ, পিঠা, কেক, আচার ইত্যাদি নিয়ে ১২টি স্টোল তৈরি করা হয়। এই আয়োজনের মাধ্যমে যেসব নারীরা হোম ডেলিভারি করেন। তাদেরকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের জন্য অন্যভাবে একটি পথ করে দেওয়ার লক্ষ নিয়ে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ভিন্ন ধারার এই মেলা সম্পর্কে দুই নারী উদ্যোক্তা জানান, পুরুষের রোজগারের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভশীল না হয়ে, সংসারের পাশাপাশি নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার প্রয়াস থেকে এ আয়োজন। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করছে নারীরা। আবার অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবসাসহ বিভিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করা ও নিজেদের পরিকল্পনা শেয়ারের জন্য এমন আয়োজন উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক নারীদের এগিয়ে যেতে সাহস ও উৎসাহ জোগাবে।

নারী উদ্যোক্তা শিতুমা জামান বলেন, আমি বিভিন্ন খাবার নিয়ে এ মেলায় স্টল সাঁজিয়ে ছিলাম। এখানে এসে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাব ইনশাআল্লাহ। এই অভিজ্ঞতা ব্যবসায়িক জীবনে কাজে লাগবে। তিনি আরও বলেন, নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারছি এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছি।

নতুন নারী উদ্যোক্তারা বলেন, অনেক আগের থেকে ইচ্ছা ছিল সংসারের কাজের পাশাপাশি নিজে কিছু করি। আজ সেটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই হোম ডেলিভারি মেলায় স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এখানে এসে বুঝতে পারলাম নারী হলেই পুরুষের উপার্জিত অর্থের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here