সুতার কাজ ও হোমমেড খাবারে স্বাবলম্বী ওমেনা

0

হাই স্কুল থেকেই সুতার কাজ করতে ভাল লাগতো সৈয়দা ওয়াকিমুন্নেছা ওমেনার। তবে সেটা সম্পূর্ন নিজস্ব ডিজাইনে। অনেক সময় ওয়ান পিস, টু পিস বানিয়ে নিকট আত্মীয়দের উপহার দিতেন।

নিজস্ব ডিজাইনে সুতার কাজের পাশাপাশি ওমেনা হোমমেড ফুড নিয়েও কাজ করছেন। স্বাবলম্বী এই উদ্যোক্তার উৎপাদিত পণ্যের তালিকায় রয়েছে হাতের কাজের গাউন, কুর্তি, ব্লাউজ, শাড়ি-ওড়না। খাবারের ক্ষেত্রে গুজিয়া পিঠা, বারবিকিউ রাইস ও ভেলপুরি। খাবারেই অনেক বেশি সাড়া পেয়েছেন তিনি।

করোনার পর যখন কর্মীদের হারিয়ে ফেলি তখন নতুন করে উই গ্রুপ থেকে বিভিন্ন কোর্সে বিশেষ করে ১২টা মাষ্টার ক্লাসে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। তারপর আবার কর্মীদের এক করি ও নতুন উদ্দীপনায় কাজ শুরু করি।

অনলাইনে উদ্যোক্তার দুটি পেইজ আছে। হাতের কাজের পেইজের নাম ‘ডিএস ক্রিয়েশন’ আর হোমমেড ফুডের পেইজের নাম ‘রসাইঘর’। বিদেশে সেভাবে না পাঠালেও অনেকেই দেশের বাইরে তাদের রিলেটিভদের জন্য উদ্যোক্তা ওমেনার প্রোডাক্ট গিফট হিসেবে নিয়ে যায়। দেশের ভেতর প্রায় ৩০টি জেলায় তার পণ্য বিক্রি হয়। বর্তমানে তার ১৫ জন কর্মী আছে যারা তাকে সুতার কাজ করে দেয়। প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো পণ্য বিক্রি হয়।

শিক্ষক বাবার মেয়ে উদ্যোক্তা ওমেনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুমিল্লা জেলার মনোহোরগঞ্জ থানার রাজাপুর গ্রামে। প্রাইমারি ও এসএসসি গ্রাম থেকেই পাশ করেন। তারপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করেন।

উদ্যোক্তার ভাষ্য একদিন সাহস করে ৬টা জামার ছবি তুলে আপলোড দিলেন। ১৮০ টাকা দিয়ে ৩ গজ কাপড় কিনে তিনি নিজে হাতে জামাগুলো সেলাই করেছিলেন। অবিশাস্য হলেও সত্যি যে মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে প্রায় সবগুলো ড্রেস বিক্রি হয়ে গেলো। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বার বার ইনবক্স চেক করছিলেন। পরদিন থেকে নতুন উদ্দীপনায় কাজ শুরু করলেন।

নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে উদ্যোক্তা সৈয়দা ওয়াকিমুন্নেছা ওমেনা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার সুতার কাজ খুব ভাল লাগে। স্কুলে থাকতেই আমি নিজে একা একা সুতার কাজ করতাম। আর আমার তৈরি খাবার আমার ভাইবোন, বন্ধু, পরিজন সবাই খুব পছন্দ করে। তেমন কোন পোস্ট না করেও আমি খাবারের ভাল অর্ডার পাই। তাছাড়া পেজে বা গ্রুপে নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে স্টোরি টেলিং-এর মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করলেও ভাল সাড়া পাই।’

সাইদ হাফিজ,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here