ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল এবং সীমান্ত নগরী যশোরে আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা-২০২০ অনুষ্ঠিত হয় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন)-এর আয়োজনে এবং যশোরের জেলা প্রশাসন, বিসিক, নাসিব ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ব্যবস্থাপনায় যশোর শহরের মুন্সি মেহেরুল্লাহ ময়দানে (টাউন হল মাঠ) সপ্তাহব্যাপী আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলার আয়োজন করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আশরাফ হসেন পিপিএম, পুলিশ সুপার যশোর। শহিদুল ইসলাম মিলন, সভাপতি, যশোর জেলা আওয়ামীলীগ। শ্যামল দাস, পরিচালক, নাসিব, যশোর। সাকির আলি, সভাপতি, নাসিব যশোর। ফরিদা ইয়াসমিন, ডিজিএম, বিসিক, যশোর। ফাহিম বিন আসমত, সহকারী মহাব্যাবস্থাপক, এসএমই ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, জেলা প্রশাসক, যশোর।
এসএমই ফাউন্ডেশন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ সকল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা কর্তৃক উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং ক্রেতা-বিক্রেতা সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক পণ্য মেলার আয়োজন করে। তারই ধারাবাহিকতায় যশোর জেলা প্রশাসন, বিসিক, যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, নাসিব ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ সকল স্টেক হোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে তাঁদের সহযোগিতায় এসএমই ফাউন্ডেশন যশোর জেলায় ৭ দিনব্যাপী আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলার আয়োজন করেছে।
মেলায় সারা দেশ থেকে আগত ৭০জন উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে তাদের স্টলগুলো সাজিয়েছেন। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় এসে যেমন পণ্যগুলোর সাথে পরিচিত হচ্ছে সেই সাথে পরিচিত হচ্ছেন উদ্যোক্তাদের সাথেও।
মেলায় স্থান পাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে পাট, চামড়াজাত সামগ্রির পাশাপাশি হ্যান্ডিক্রাফটস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ রকমারি পণ্যের সমাহার নিয়ে এছাড়াও এই মেলায় কৃষিজাত পণ্য, ডিজাইন ও ফ্যাশানওয়্যার ও গৃহস্থালি পণ্যেরও উপস্থিতি দেখা যায়। মেলায় পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারাও অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া মেলায় ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও অংশ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন এসএমই বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এটির বিষয়বস্তু হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্ভাবনা, মান নিয়ন্ত্রণ ও পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক। এছাড়া মেলায় সাংস্কৃতিক ও লোকজ খেলাধুলার আয়োজন থাকছে।
শুরুর দিন বেচাকেনা খুব একটা জমে না উঠলেও প্রচুর লোক সমাগম ঘটেছে মেলায়। উদ্যোক্তারা আশা করছেন আগামী দিনগুলোতে মেলা জমে উঠবে।
মেলায় আগত একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ উদ্যোক্তা এবং ক্রেতা দর্শনার্থীদের জন্য খুব ভাল। এর ফলে ক্রেতারা উদ্যোক্তার কাছ থেকে সরাসরি পণ্য কিনতে পারছে এবং উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পারছে যা ভবিষ্যতে নতুনদের উদ্যোগী হতে সাহায্য করবে। মেলার সমাপনী দিন জুড়ি বোর্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এতে অংশ নেওয়া শ্রেষ্ঠ স্টলগুলোকে পুরুস্কৃত করা হবে।
মেলা চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা