বিদ্যমান সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ নেওয়ার সময় চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য গঠিত ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণদানের সময় আবার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ শেষ হয়েছিল। এর আগে গত বছরের মার্চে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলচ্চিত্র শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান সিনেমা হলগুলো আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্দেশ্যে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ইস্যু করেছিল। এই স্কিমের আওতায় ঋণ গ্রহণে হল মালিকদের যথেষ্ট আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ও সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় অনেক গ্রাহক যথাসময়ে ঋণ আবেদন দাখিলে সক্ষম হননি। এ ছাড়া পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিলে সমর্থ হয়নি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন দাখিলের সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স সংস্কার ও নতুন নতুন সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় স্বল্প সুদে বিতরণযোগ্য ঋণের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম দফায় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদনের সময় দেয়া হয়। পরে সেটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়।
সার্কুলার অনুযায়ী, সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হবে। নতুন একটি ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান একটি ইউনিট সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। তবে শর্ত রয়েছে, এ তহবিলের অর্থ চলমান সিনেমা হল গুলো নিজেদের অন্য কোন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে পারবে না।
৫ শতাংশ সুদহারে বিভাগীয় অঞ্চল এবং এর বাইরের এলাকার জন্য ৪.৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ৮ বছর পর্যন্ত। তবে ঋণ গ্রহণের প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে ছাড় মিলবে ।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা