উদ্যোক্তা- প্রীতি ইসলাম পারভীন

প্রীতি ইসলাম পারভীন, উদ্যোক্তা
চায়না থেকে ফিরে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করলেন…

চায়না সরকারের আয়োজনে, “ইন্টারন্যাশাল এক্সিবিশন-২০১৯” ইমপোর্ট কমোডিটিস স্প্রিং ফেয়ারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে দুটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবারের মেলায়। যার মধ্যে জাতীয় শিল্প পুরষ্কার প্রাপ্ত “প্রীতি বুটিকস এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট এবং প্রীতি লেদার” একটি। বাংলাদেশের মোট স্টল ছিল তিনটি তার মধ্যে দুইটি ছিল “প্রীতি বুটিকস্ এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট ও প্রীতি লেদার” এর।

উদ্যোক্তা বার্তা থেকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী প্রীতি ইসলাম পারভীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এটা ছিলো আমার চায়না মেলায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ। প্রথমবার এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আর এবার কোন সংস্থার সাহায্য ছাড়াই চায়নাদের আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ। আমি খুবই আনন্দিত বাংলাদেশের পণ্য এখানে বিক্রয় করতে পেরেছি এবং বিদেশী বায়ারের কাছ থেকে অর্ডার গ্রহণ করতে পেরেছি। আরেকটা আনন্দের এবং গর্বের অর্জন হচ্ছে যে, চায়নাতে সারা বিশ্ব থেকে আগত সফল ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর একটি দেয়ালে সংরক্ষণ করা হয়েছিল আর আমি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেখানে স্বাক্ষর করতে পেরেছি”।

মেলায় অংশগ্রহণের সময় স্বামী অসুস্থ ছিলেন। আবার চায়নার আবহাওয়ায় বেশ সমস্যা হলেও প্রীতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “প্রতিটা মানুষের জীবনে সফলতার পেছনে অনেক কষ্ট করতে হয়। আমাদের চায়না সফরটাও ঠিক এমনটাই ছিলো। মেলা চলাকালীন সময়ে তিনদিন বৃষ্টি ছিলো। এরমধ্যেও আমরা আমাদের দেশীয় প্রডাক্ট এভাবে সেল করতে পারবো কল্পনাও করতে পারিনি।

নিজের দেশ থেকে অন্য একটি দেশে নিজের পণ্য বিক্রি করা এবং অনেক প্রশংসা পাওয়া ছিলো আমার জন্য অন্যরকম অনুভূতি। পণ্যের মানে ক্রেতারা ছিলো সন্তুষ্ট তাই বিদেশে এমন মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র বেড়ে যাবে”।

সব ঠিক থাকলে কিছু দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুরে যাবেন প্রীতি ইসলাম। নিজস্ব পণ্য বিক্রি করা, সেখানকার বায়ারদের অর্ডারকৃত পণ্য সাপ্লাই এবং আরও নতুন অর্ডার মিলবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এয়ারপোর্টের ঝামেলা থেকে বিদেশে গিয়ে থাকা খাওয়ার সকল সুব্যবস্থা চেয়ে সকল দেশীয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ আশা করেন প্রীতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here