২০০৩ সালে বিবিএ সম্পন্ন করলেও ১৯৯৭ সাল থেকেই একটি কোম্পানীতে চাকুরীরত ছিলেন তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন। ২০০১ সালে তিনি আর তার বন্ধু মোবাশ্বের হোসেন মিলে যাত্রা শুরু করেন জানালা বাংলাদেশ লিঃ এর।
ব্যবসা তার জন্য একেবারেই নতুন বিষয়। পরিবারে তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি কিনা উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় পরিবারের কেউই তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি।
স্পন্দন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শেষে কেউ ব্যবসাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিবে সমাজ এটাকে উদ্বুদ্ধ করতো না। মানুষ ব্যবসায়ীদের ভালো চোখে দেখতো না। অনেক সামাজিক প্রতিকূলতা সহ্য করতে হয়েছে আমাদের।
আমরা জানালা বাংলাদেশ শুরু করি প্রায় শুন্য মূলধন নিয়ে। আমাদের একটি কম্পিউটার আর পাঁচজনের একটি টিম ছিলো।”
কঠোর পরিশ্রম করেছেন তারা। কিন্তু আর্থিক যোগানই ছিলো তাদের মূল চ্যালেঞ্জ। কারন তারা কোনো ব্যাংক লোন নেননি। তবে বিশ্বাস করেন, কখনো কখনো বিনিয়োগ ছাড়া ব্যবসাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তারা যাতে ফিন্যান্সিয়াল বিষয়াদি সম্পর্কে জানার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করেন, কারন আমাদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে এবিষয়ে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য।”
জানালা বাংলাদেশ লিঃ যাত্রা শুরু করেছিলো সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি হিসেবে। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিদেশী পর্যটকদের কাছে অপরূপ বাংলাদেশকে তুলে ধরতে এবং মানুষকে সুস্থ জীবন ধারায় অনুপ্রাণিত করতে তারা তৈরী করেছেন বেসক্যাম্প বাংলাদেশ লিঃ, মুনলাই কমিউনিটি ট্যুরিজম, নিওক্যাম্পার্স বাংলাদেশ এবং জানালা সিস্টেমস।
বর্তমানে জানালা বাংলাদেশ লিঃ দেশের শীর্ষ কমিউনিকেশন সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথেও কাজ করছেন উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের জানালা বাংলাদেশ।
খুরশিদা পারভীন সুমী