শীতের আমেজে আনন্দমেলার পিঠা উৎসব

0

পৌষ-মাঘ শীতকাল মানেই বাঙালির পিঠার উৎসব। শীত মানেই বিভিন্ন পিঠার আয়োজন। ব্যস্ত শহুরে জীবনে পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় পিঠা মেলার। তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই পরিচিতি ঘটে নানান রকম ও নানান স্বাদের পিঠা-পুলির সাথে। রাজধানীর মিরপুরে শীতের আমেজে আনন্দমেলার পিঠা উৎসব দৃশ্য ছিল তেমনটাই। বাহারি পিঠার সমাহার নিয়ে মিরপুর আবাসিক এলাকায় ডোরিন ভিনচেতা শপিং কমপ্লেক্সে জমে উঠে দু’ দিনব্যাপি পিঠা মেলা।

ডোরিন ভিনচেতা শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর দু’দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ২৫ জন উদ্যোক্তা তাদের পিঠা এবং অন্যান্য পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।

মেলা প্রসঙ্গে মেলা আয়োজক তামান্নুর পপি বলেন, ‘মেলায় ২৫ জন উদ্যোক্তা তাদের পিঠা এবং অন্যান্য পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্তির পথে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র আছে যা বাঙালি কখনো বিলুপ্তি হতে দেয় না। তাই ঐতিহ্যবাহী পিঠা তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানো এবং তাদের সামনে স্বাদ তুলে ধরাই আমার মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি তরুণ নতুন উদ্যোক্তাদের এক ছাদের নিচে একটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে তাদের পণ্যগুলোর প্রচার-প্রসার ও তাদের সুযোগ করে দেওয়াও অন্যতম উদ্দেশ্য। ‘

মেলায় ঘুরতে এসে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তিশা বলে, ‘ছোটবেলা থেকে শহরে বড় হয়েছি। গ্রামে এভাবে কখনও যাওয়া হয়নি আর পিঠাও খাওয়া হয়নি। বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের একেক রকম পিঠা। আর এই পিঠা উৎসবে সেই পিঠাগুলো এসেছে। সেই সুযোগে হরেকরকম পিঠা দেখাও হলো আর খাওয়াও হলো।’

উদ্যোক্তা সুমিকা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘পায়েস, প্যান কেক, পুডিং, দইবড়া, চালের রুটি, দই পিঠা, সেমাই পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সরু পিঠা, আচারসহ নানা পিঠাপুলিসহ মেলায় উপস্থিত হয়েছি। সবাই বলে আমার হাতের পিঠা নাকি অনেক সুস্বাদু। সেখান থেকেই মূলত আমার পিঠার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা।’

পিঠা উদ্যোক্তা শাওন বলেন বলেন: বিভিন্ন বয়সী মানুষ যেমন এসেছেন তেমন কিনেছেন। মেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তারা দেখার পাশাপাশি পিঠাসহ পোশাক ও ব্যাগ কিনেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পিঠা মেলায় হরেক রকমের পিঠা রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জামাইভোগ, পাটিসাপটা, কুলি, ভাপা, সবজি কুলি, পুলি, নারু পিঠা, সেমাই পিঠা, চপ পিঠা, চিতই পিঠাসহ নানা নাম ও স্বাদের বাহারি পিঠা। এছাড়া মেলার স্টলগুলোতে ছিল পোশাক, ব্যাগ, প্রসাধনীসহ রকমারী পণ্য। মেলায় স্টল ছিল ২৫টি। পাশাপাশি শিশুদের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আর আয়োজন শেষে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here