শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি’র সাথে বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন।
রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো: শহীদুল হক ভূঁঞা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব শরীফ মো: মাসুদ এবং ঢাকাস্থ জাপানী দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রথম সচিব হারুতা হিরোকী উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী জাপানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী জাপান সফরের সময় জাপানী ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সাক্ষাতকালে জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অতীতে যেভাবে পাশে থেকেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রেও সেভাবে পাশে থাকবো।’
জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্তসমূহ প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব রকমভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (TSDF) স্থাপনে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমরা শীঘ্ই সম্ভাব্যতা যাচাই করে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবো।
শিল্পমন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশেনের সাথে জাপানী শিল্প প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশে মোটর গাড়ি নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। জাপানী রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কাজ করছেন বলে জানান। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’-র আদলে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়। জাপানী রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা