জানুয়ারির শেষ দিন থেকে জমজমাট আয়োজনে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় পিঠা উৎসব। উৎসবের প্রথম দিন থেকেই গ্রাম বাংলার বাহারি স্বাদের পিঠা খেতে স্টলগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০ এর এই উৎসবের আমেজকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভাষার মাসে অনুষ্ঠিত ‘বইমেলা’।
পিঠা উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করতে বাহারি পিঠার সঙ্গে রয়েছে খোলা মাঠে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলা উদযাপন চলছে।
এখানে পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরি করেন সেই শিল্পীদের নিয়ে ৫০টি স্টল তৈরি করা হয়েছে। তাই এবারের পিঠা উৎসবে স্টলগুলোতে মিলবে পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে নগরের বিভিন্ন ধরনের আদি পিঠা স্বাদ।
বাহারি পিঠার মধ্যে রয়েছে বিবিখানা, জামাই আদর, ডিম সুন্দরী, ক্ষ্যাতাপুরী, ক্ষীর পাটিসাপটা, নারিকেল গুড়ের পুলিপিঠা, খেজুর গুড়ের পিঠা, সাংগ্রাই মুং, আদিবাসীদের কলা পাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সাথে পুর সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠা।
এসব পিঠার স্বাদ উপভোগ করতে করতে দর্শকরা দেখতে পারবেন মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। যার মধ্যে রয়েছে লোক নৃত্য, লোকসঙ্গীতানুষ্ঠান, একক ও সমবেত নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, লালনগীতি, একক সংগীত ও দলীয় সংগীত ইত্যাদি। প্রতিদিনের পুরো অনুষ্ঠানই সফল হয়ে ওঠে সঞ্চালকের দারুণ উপস্থাপনায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গনে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পিঠার এ উৎসব চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা