চারিদিকে করোনার কড়া চোখ রাঙানি। স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. আহমেদ নাসির শুনলেন তার কলেজ জীবনের শিক্ষক মো. শাহাদাৎ হোসেন করোনা কালীন কর্ম বিরতিতে কী যেন একটা ব্যবসা করছেন। নাসির একদিন গেলেন স্যারের ‘অল ইন অন মার্কেট’ নামের শোরুম দেখতে।
স্যারের কর্মকাণ্ড দেখে বেশ খানিকটা বিস্মিত হলেন নাসির। স্যার তার কাজ সম্পর্কে ঘন্টা খানেক বোঝালেন নাসিরকে। কীভাবে পোস্ট করতে হবে, লাইক বাড়াতে হবে, বিক্রি বাড়াতে হবে সব কিছুই শেখালেন। নাসির বেশ উৎসাহিত হলেন। শুরু করলেন অনলাইন মার্কেটিং। প্রথম এক মাস তিনি কোনো সাড়া পেলেন না। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়লেন না। নিজের আইডিতে ও বিভিন্ন গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট করতে থাকলেন। এরপর আস্তে আস্তে তার পণ্য বিক্রি শুরু হলো।
একদিন নাসিরের স্যার শাহাদাৎ হোসেন নাসিরকে তার সাথে পার্টনারশিপে কাজ করার প্রস্তাব দিলেন। নাসির জানালেন তার কাছে অতো পুঁজি নেই। স্যার বললেন, পুঁজি লাগবে না। তুমি আমার সাথে কাজ করো। সেই থেকে দুজন একসাথে কাজ করছেন।
মাত্র ১ হাজার টাকা নিয়ে নাসিরের উদ্যোগ শুরু। এখন কাজ করছেন মধু, ঘি, বাটার, ড্রাই ফ্রুটস, হানি মিক্সড ইত্যাদি সহ যাবতীয় অর্গানিক আইটেম, পাঞ্জাবি এবং সব ধরনের খেজুর। এছাড়াও আরও ৩০-এর অধিক আইটেম আছে তাদের।
বর্তমানে তাদের দুইটা দোকান আছে। নাসির আর তার স্যার মিলে চালান সব। নিজেদের কাজ নিজেরাই করেন। অনলাইনে তার পেজের নাম ‘Capital market’। এখানে পর্যন্ত বিদেশে রপ্তানি না হলেও তাদের পণ্য বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় যায়। মাসে তারা প্রায় ২৫ হাজার টাকার পণ্য উৎপাদন করেন এবং সেগুলো প্রায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে উদ্যোক্তা আহমেদ নাসির বলেন, ‘নিজের স্বাধীনতা ও ভালো পণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করছি। যেটা আমার সুনাম বাড়াতে সাহায্য করবে।’
সাইদ হাফিজ
উদ্যোক্তা বার্তা