নিজ স্থানে কিছু একটা করা, এমন কিছু যা গতানুগতিক নয়। এমন কিছু যা প্রজন্মকে নিজের শেকড় চেনাবে, উদ্যোগ আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে এবং বিশ্বমানে নিজের প্রজন্মের জন্য করবে কাজ। সেবা দিবে নিজের দেশকে। নিজ ছেলেমেয়েকে নিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জন্য সেতুর এই স্বপ্ন, এই উদ্যোগ।
মুক্তিযোদ্ধা এবং সহ-সেক্টর কমান্ডার বাবা আলহাজ্ব মশিউর রহমানের আদর্শে আলোকিত মেয়ে সাহিদা রহমান সেতু ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ৮০’র দশকে “গোধূলী লগ্ন” কবিতা লেখা সাহিত্যের ছাত্রী সেতু ভীষণ প্রকৃতিপ্রেমী। প্রকৃতির নিয়ামক প্রকৃতিপ্রেমী সেতুকে ভীষণ ভাবায়।
বাংলাদেশ সীমান্ত নগরী বেনাপোলের মেয়ের ইচ্ছে হয় শহরের দৃশ্যপট পরিবর্তন করার। উদ্যোগ নেন মেগাস্ট্রাকচার তৈরীর। স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম এর নকশায় রহমান চেম্বারে তৈরী হয় কমপ্যাটিবল সেই স্ট্রাকচার। যার আজ শুভ উদ্বোধন।
বাংলাদেশের সীমান্ত নগরী বেনাপোল দিয়ে আজ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবার সময় কিংবা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নতুন বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়।সেতু ৩৭ শতক পারিবারিক জমির ওপর গড়ে তুললেন বিংশ শতকের কমপ্যাটিবল স্ট্রাকচার। ২০০ টি শো-রুম, ব্যাংক হাউজ, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক হোটেল, জিম, কফি সপ, সুইটসহ সব থাকছে এক স্ট্রাকচারেই।
গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোরে অত্যাধুনিক সব ব্র্যান্ড আউটলেটস এবং ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস।২ তলা এবং ৩য় তলায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, জিম এবং বিলিয়ার্ড জোন। ৪ তলা পুরোটাই অফিস স্পেস। ৯০০০ স্কয়ারফিট। ৫ তলায় বেনাপোল ইম্পেরিয়াল সুইট, ৩৭ টি স্টেট অব আর্ট সুইট। ভারত থেকে বাংলাদেশে যত অতিথি আসবেন বাংলাদেশে তাদের কাছে নতুন এক যাত্রাবিরতির স্থান হবে রহমান চেম্বার।
বাংলাদেশের নতুন ভাবমূর্তির পরিচায়ক এই ফ্ল্যাগশিপ বিল্ডিং দক্ষিণবঙ্গে। আলো ঝলমলে সীমান্ত নগরী বেনাপোল আজ নতুন খাতায় ফ্ল্যাগশিপ বিল্ডিং এ নতুন পরিচয় পেল উদ্যোক্তা সেতুর জন্য।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা