ছোটবেলা থেকেই আর্টের প্রতি আগ্রহ ছিল। রঙতুলি নিয়ে তার আগ্রহ ছিল ব্যাপক। কিন্তু, কখনোই সেভাবে প্রফেশনালি কাজ করেননি আগে। কে জানতো, একদিন এই রঙতুলির আচড়েই স্বপ্ন আঁকবেন উদ্যোক্তা কাজী জোবাইদা আক্তার।
মহামারীতে সবাই যখন ঘরে বন্দী উদ্যোক্তা কাজী জোবাইদাও তখন বন্দী সময় কাটান। লকডাউনে বাচ্চার সাথে একঘেয়েমি সময় কাটানোর সময় ড্রইং বা আর্ট করতেন। বাচ্চাকে শেখাতে শেখাতে হঠাৎ তার মাথায় খেলে গেল এক পরিকল্পনা, “যেহেতু তিনি ভালোবাসেন আর্টের কাজ করতে, তাহলে কেন তিনি তাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন না?”
যদিও প্রফেশনালি কোথাও আর্ট শেখেন নি। আবার, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তাই চাকরিও তাকে একরকম তাগাদা দিচ্ছিলো। কিন্তু, লকডাউনে বন্দী সময়টাকে প্রোডাক্টিভ করতে ভাবলেন শুরু করেই দেখা যাক। যেই ভাবা, সেই কাজ।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু উদ্যোগ নিয়ে যাত্রা। চমৎকার নামও ঠিক করে ফেললেন। মুক্তমায়া নামে চলতে শুরু করলো তার উদ্যোগ। কাপড়ের উপরে পেইন্টিং এর কাজই তার মূল লক্ষ্য। বর্তমানে হ্যান্ডপেইন্টেড ব্লাউজ, শাড়ি, কুর্তি ইত্যাদি তৈরি করেন উদ্যোক্তা। রঙতুলির আচড়ে একটি সাধারণ পোশাককে অসাধারবে বদলে দেন নিমিষেই।
উদ্যোক্তা একাই একশো। বর্তমানে তিনি একাই তার উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্ন তার একদিন নিজের স্টুডিও হবে। যেখানে আরও কিছু সহকর্মীর সহায়তায় ড্রেসের পাশাপাশি জুয়েলারি নিয়েও কাজ করতে চান। উদ্যোগের পরিধি আরও বড় করার মাধ্যমে উদ্যোক্তা আরও অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিও করতে চান।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন উদ্যোক্তা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার প্রোডাক্টগুলো একটু এক্সক্লুসিভ।প্রতি মাসে অন্তত ১০হাজার টাকার অর্ডার আসছে। দিন দিন বাড়ছে অর্ডারের সংখ্যা। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়াচ্ছি পণ্যের গুণগত মানও।”
নারীদের বর্তমান জাগরণ এবং উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা নিয়ে উদ্যোক্তা কাজী জোবাইদা আক্তার বলেন, “এটা খুবই পজেটিভ ব্যাপার। ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে সংসারের কাজের পাশাপাশি প্রতিটি নারীই এগিয়ে যেতে পারে। নারীর ক্ষেত্রে সবসময় হয়তো চাকরি করা সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় কিন্তু তারা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।”
মশিউর শাফী,
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা