ছোটবেলা থেকে ‘ড্রয়িং’ করার বিষয়ে এক অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে কাকলী দাসের মাঝে। একদিন হঠাৎ দেখা টেলিভিশনে ফুড কার্ভিং এর কাজ বেশ আগ্রহ নিয়ে নিজ চেষ্টায় শিখেন এবং খুলনা জেলার প্রথম ফুড কার্ভিং আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিতিও লাভ করেন। আজ তার শখ তাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছে সকলের কাছে।
রান্না করবার সময় উদ্যোক্তা প্রায় চেষ্টা করতেন ঘরে রাখা সাধারণ ছুরি দিয়ে ফুড কার্ভিং এর কাজটি করতে। প্রথম চেষ্টায় তিনি কিছুটা ডেকোরেশন করতে পারেন এবং সেখান থেকে তিনি ফুড কার্ভিং এর কাজ শিখতে শুরু করেন।
কাকলী দাস উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “ফুড কার্ভিং এর কাজ আমাকে বেশ আকর্ষণ করে। ফুড কার্ভিং এর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কোর্সের বিষয়ে আমার জানা ছিলো না। তাই ইউটিউব দেখে দেখে, এই কাজে দক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টায় নিজেকে ব্যস্ত করে তুলি।”
২০১৪ সাল, ফুড কার্ভিং এর কাজে নিজের হাতের দক্ষতা অর্জন করবার পর কাকলী দাস মনোস্থির করেন ফুড কার্ভিং এর ব্যবসা করবার বিষয়ে। ‘কাকলী’স কার্ভিং অ্যান্ড ওয়েডিং ক্রিয়েশনস’ নামে ফেসবুক পেজ খুলেন। ব্যবসার প্রচারের জন্যে পরিচিতদের ফল কিংবা পিঠার ওপর কার্ভিং এর কাজ করে উপহার করেন। তিন থেকে চার মাস পর তিনি প্রথম অর্ডারও পেয়ে যান। সফলভাবে প্রথম অর্ডারটি সম্পন্ন করেন।
উদ্যোক্তা নিজের কাজকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্যে বিভিন্ন মেলাতেও অংশগ্রহণ করেন, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তাকে। প্রতিনিয়ত বড় বড় অর্ডারের কাজ করে যাচ্ছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন দ্রুত গতিতে। উল্লেখ্য, কাকলী দাস ফুড কার্ভিং এর পাশাপাশি বেকিং এর কাজ করে থাকেন।
কাকলী দাস তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, তিনি ব্যবসা প্রসারের সাথে সাথে ফুড কার্ভিং এর কাজে এক একটি টিম গঠন করে প্রশিক্ষণ দিয়ে সকলকে এই আর্টিস্টিক কাজের সাথে সংযুক্ত রাখতে চান।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা