রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাসিক মেয়র

0

রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এমপির সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সাথে রাসিক মেয়রের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের শুরুতে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে ডিও লেটার প্রদান করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী।

ডিও লেটারে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন: রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চতর শিক্ষা, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন বিশেষ করে উন্নত চিকিৎসার প্রত্যাশায় ভারত সফর করে থাকেন। রাজশাহী থেকে সরাসরি ভারতে যাওয়ার কোন পরিবহন মাধ্যম না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ নানারূপ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই কারণে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে রেলযোগে ভারতের সাথে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি দীর্ঘ দিনের।

“উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ইতিহাস বেশ পুরনো। এরই অংশ হিসেবে বলা যায়, দর্শনা বর্ডার হয়ে ভারতের গেদে রেলপথ ব্রিট্রিশ আমলেই নির্মিত হয়েছে। দর্শনা বর্ডার দিয়ে গেদে হয়ে কলকাতা পর্যন্ত বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। রেলযোগাযোগ বিদ্যমান থাকায় ঢাকা-কলকাতা এবং খুলনা-কলকাতার মতো রাজশাহী থেকে কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সহজতর হবে,” বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন মেয়র।

তিনি বলেন, ‘রাজশাহী ও ভারতের কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে শস্যভাণ্ডারখ্যাত উত্তরাঞ্চলের মানুষ চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। রেগুলার হেলথ চেকআপ থেকে শুরু করে ক্যান্সার, লিভার, চোখ, নিউরোলজি ও হার্টের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের সার্জারির জন্য প্রতিদিন বহুসংখ্যক মানুষ রাজশাহী থেকে ভারতের কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই, নয়া দিল্লী, ব্যাঙ্গালুরু, ভেলর, হায়দরাবাদের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে যান। এই অঞ্চল থেকে কাছে এবং একই ভাষা ও সংস্কৃতি হওয়ার কারণে চিকিৎসা পর্যটনে কলকাতা তাদের প্রথম পছন্দের স্থান।’

মেয়র বলেন: শুধু তাই নয়, রাজশাহী ও কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং জ্ঞান বিনিময় বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের মানুষ এর ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। রেল ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় সহজেই এ এলাকার লোকজন রাজশাহী থেকে কোলকাতা তথা ভারতে যেতে পারবেন। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শিল্পায়নের অভূতপূর্ব প্রসার ঘটবে।

রেলমন্ত্রীকে রাসিক মেয়র  বলেন, ‘রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়াসহ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সাথে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন সময়ের দাবি বলে আমি বিশ্বাস করি। বর্ণিত বাস্তবতার আলোকে রাজশাহী হতে দর্শনা বর্ডার দিয়ে গেদে হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here