তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত ১০ বছরে দেশে ৯০ ভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। এর ফলে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বছরে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উপার্জন হচ্ছে, ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর ২০/২২ লাখ মানুষ জন্ম নেয়, প্রতি বছর কৃষিজমি কমে দুই লাখ একর। এরপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি এবং কৃষিপণ্য রপ্তানিও করছি। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে এই অভাবনীয় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিন দিনের মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার স্বাগত বক্তব্য দেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা মহামারির প্রভাবে পৃথিবীতে খাদ্য সঙ্কটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহবান জানিয়েছেন যেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে। আমার উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় সব পতিত জমিকে কৃষির আওতায় আনতে হবে। যে জমিতে যে কৃষিপণ্য বেশি ভাল হবে, কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের সেখানে কৃষকদের নিয়ে সেই বিষয়ে সভা করে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সাফল্য দেখাতে পেরেছে এটি অভাবনীয় এবং সমস্ত পৃথিবীর জন্য উদাহারণ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ, কিন্তু ধান ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন খান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিবাকর দাশ মান্না এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা
