রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীদের হাতে কোমর তাঁতে তৈরি উটের বেল্ট রপ্তানি হচ্ছে। এরইমধ্যে দুবাইয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে কোমর তাঁতে তৈরি উটের বেল্ট।
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পাহাড়ি নারীদেরও এ কাজে আগ্রহ বেড়েছে। ঘরে বসেই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছেন তাদের।
২০০৬ সালে এক দুবাই প্রবাসীর অনুরোধে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের জুনুমা ছড়া গ্রামের রমিকা দেওয়ান কোমর তাঁতে উটের বেল্ট তৈরি করেন। তা দুবাইয়ে পাঠানোর পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর ওই এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যেও এর উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ে।
উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ঝর্ণা খীসা। তিনি বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমি কাউখালীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীদের নিয়ে কোমর তাঁতে তৈরি উটের বেল্ট দুবাইয়ে রপ্তানি করছি। ওই দেশে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে আমাদের তৈরি বেল্ট। তবে সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি প্রসারিত করা যাচ্ছে না।
কোমর তাঁতিদের একজন বলেন, সুতা দিয়ে কোমর তাঁতে তৈরি করা হয় উটের বেল্ট। সেলাই করে তৈরি করতে হয় এটি। এক সেট অর্থাৎ ছোট-বড় সাইজের ৪৫টি বেল্ট তৈরি করতে সময় লাগে একমাস। এরপর রপ্তানি করা হয় দুবাইয়ে।
রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি মিনু রানী চাকমা বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা উটের বেল্ট তৈরির কারিগররা নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারবেন। তিনি বলেন, উটের বেল্ট তৈরি করতে পরিশ্রম অনেক। তবুও পাহাড়ি নারীরা জুম চাষের পাশাপাশি এ কাজ করছেন।
স্থানীয়রা বলেন, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিলে কোমর তাঁতে তৈরি উটের বেল্টের পাশাপাশি অন্যান্য বস্ত্র বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা