একাদশ জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলা শুরু হচ্ছে ১৯ মে। সাত দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। এতে ৩০০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ী সাতজন উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারাই মেলায় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন। বিদেশি বা আমদানিকৃত কোনো পণ্য মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও জানান, মেলায় এসএমই ঋণ বিতরণকারী প্রায় ২৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। তাদের কাছ থেকে উদ্যোক্তারা এসএমই ঋণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। আর উদ্যোক্তারা মেলাতেই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকছে তৈরি পোশাক ও ফ্যাশনশিল্প থেকে। এ খাতের ৭৫টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। অন্যান্য খাতের মধ্যে পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারুশিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, হালকা প্রকৌশলশিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল বা ভেষজশিল্পের ৫টি, জুয়েলারিশিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের ৩টি, আসবাব খাতের ৩টি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়।
এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাবসহ প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ নেবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ থেকে ১১ নভেম্বরে ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনকে বিবেচনায় রেখে এ মেলার তারিখ পেছানো হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা