মাত্র ১৫ বছরে, মাত্র ৩০হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে আজ কত টাকার সম্পত্তি জানেন ওয়াও মোমোর?
২০০৮ সালে একটি রান্নাঘর ও দু’জন রাঁধুনিকে নিয়ে ব্যবসা শুরু। আজ ভারতের ১৯টি শহরে ‘ওয়াও মোমো প্রাইভেট লিমিটেড’-এর রয়েছে ৪৮৪টি আউটলেট।
ছোট্ট স্টল খুলে মোমো বিক্রি শুরু। তারপরেই সেই বিক্রি এমন বৃদ্ধি পেয়েছে যে এখন ২০০০ কোটি টাকার কোম্পানি তৈরি করেছেন এক যুবক ও তাঁর বন্ধু।
সাগর দারিয়ানি এবং ‘Wow! Momo’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিনোদ হোমাগাই এই পথচলা শুরু করেছিলেন।
সাগর দারিয়ানী কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক করেন। ছোট থেকে নিজের ব্যবসা খোলার দিকে মন ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর বাবা ছেলের এই সিদ্ধান্তে সহমত ছিলেন না।
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সহপাঠী বিনোদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনার সময় প্রায়শই কাছের ফাস্ট ফুডের দোকানগুলি থেকে সাগর পিৎজা এবং বার্গার অর্ডার করতেন। সেই সময়ই তিনি মোমোর সেক্টরে ব্যবসার কথা ভেবেছিলেন। কারণ এই সেক্টরে তেমনভাবে কোনও কোম্পানির বড় মার্কেট শেয়ার ছিল না।
২০০৮ সাল, তখন তাঁদের বয়স মাত্র ২১। পকেটে পুঁজি বলতে মাত্র ৩০ হাজার টাকা! কলকাতায় প্রথম মোমোর ফুড জয়েন্ট খোলেন তাঁরা। মাত্র একটি টেবিল এবং দু’জন রাঁধুনি নিয়ে শুরু হয় পথচলা
প্রথম দুই বছর খুব কঠিন ছিল। তাঁদের কোনও ফান্ড ছিল না, জায়গা ছিল না। কম লোক ছিল।
বিজ্ঞাপনের জন্য সাগর নিজেই ‘Wow Momo’-র টি-শার্ট পড়তেন। তিনি নিজেই কোম্পানির প্রচারের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন।
তবে তিনি বুঝেছিলেন, তিব্বতি এই খাবারকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। সাধারণ মোমোতে টুইস্ট দিতে শুরু করেন। স্টিম মোমোর পরিবর্তে, তন্দুরি মোমো, ফ্রাই মোমোর মতো বিভিন্ন ধরণের আইটেম নিয়ে আসতে থাকেন।
পরবর্তীতে ছোট মোমোর স্টল থেকেই সাগর এবং বিনোদ ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলকে বেছে নেন। এভাবেই তাঁরা একের পর এক শহরে নিজেদের স্টোর খুলতে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁদের কোম্পানির ব্যবসার মোট মূল্য প্রায় ২১৩০ কোটি টাকা।
২০২৪ সালে এই কোম্পানির আয় ৫০০ কোটি টাকা স্পর্শ করেছে। প্রতিদিন ৬ লাখ মোমো বিক্রি হয়। ওয়াও মোমো’র কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৬০০০। এই সংস্থার ৩টি ব্র্যান্ড- ওয়াও মোমো, ওয়াও চায়না ও ওয়াও চিকেন।