ছোট থেকেই জুনায়েদের ইচ্ছা এমন একজন মানুষ হওয়া যে কিনা আরেকজনকে কাজ দিতে পারে। লেখাপড়ার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন একমাত্র উদ্যোক্তা হলেই অনেক মানুষকে কাজ দেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি নিজের মনের মত কাজ করা সম্ভব।
তাই দেরি না করে ১৩ মাস আগে মাত্র ৬ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করা উদ্যোক্তা জুনায়েদ বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করে থাকেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে লেখাপড়ার পাঠ চোকানোর আগে শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আব্দুল্লাহ আল জুনায়েদ। মো. জিল্লুর রহমান ও সুফিয়া বেগম দম্পতির ছোট ছেলে জায়েদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যশোরের পার্বতীপুর গ্রামে।
ডিপ্লোমা শেষ করে ডিজিটাল টেকনোলজি লিমিটেডে এক বছর চাকরি করেছেন। কিন্তু চাকরিতে তার মন টেকেনি। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন একটা কাজ করার জন্য আর সেই টাকা দিয়ে উদ্যোগ শুরু করেন।
বর্তমানে উদ্যোক্তা কাজ করছেন চাক ভাঙা মধু, খাঁটি ঘি, প্রথম চাপের সরিষার তেল, নারকেল তেল, সব ধরনের গুঁড়া মসলা, সিজনাল ফল এবং গুড় পাটালি নিয়ে। মোট ছয় থেকে সাত ধরনের পণ্যের মধ্যে মধু বাদে সব উদ্যোক্তাই উৎপাদন করে থাকেন।
উদ্যোক্তার আপন যমজ ভাই আব্দুল্লাহ আল জায়েদ সবসময় কাজে সাহায্য করেন। দুই ভাই হওয়াতে তারা সব কাজ নিজেরাই করতে পারেন। অনলাইনে উদ্যোক্তার অর্গানিক ‘ফ্যামিলি ডট বিডি’ নামে একটি পেজ আছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নাম ‘অর্গানিক ই হাট’।
উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল জুনায়েদ জানালেন, ‘সবসময় চাইতাম আমি যেভাবে চেষ্টা করি খাঁটি পণ্যটি খুঁজে খুঁজে খাওয়ার। তেমনি যে সকল মানুষ খুঁজেও খাঁটি পণ্য পায় না তাদের কাছে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই পণ্যগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’
এ কাজে উদ্যোক্তার কোনো ধরা বাধা কাজের লোক নেই। যখন যেমন দরকার হয় তখন সেই ভাবে লোক নেন। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে রপ্তানি না হলেও অনেকেই নিজের প্রয়োজনে উদ্যোক্তা জুনায়েদ পণ্য বিদেশে নিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই তাদের পণ্য পৌঁছে গেছে।
ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা জুনায়েদ তার উদ্যোগকে আরো সামনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান এবং এমন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে চান যেখানে অনেক অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে।
সাইদ হাফিজ
উদ্যোক্তা বার্তা, খুলনা