করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া শিশুদের অভিভাবকদের জন্য ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘সম্ভাবনা’। অনিন্দিত নারী নামক এক প্রজেক্টের আত্ততায় সম্ভাবনার পুষ্পকলি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেলাই মেশিনে মাস্ক, পিপিই সহ অন্যান্য পণ্য তৈরির কাজ করছে।
করোনাকালীন সময়ে মাস্ক, পিপিই ছাড়ও নারী ও শিশুদের পোশাক,পাটের তৈরি পণ্য, টেবিল ম্যাট ও ঘর সাজানোর পণ্য নিয়ে কাজ করছে অনিন্দিত নারীরা।
সম্ভাবনার অন্যতম উদ্যোক্তা মুশফিকা জান্নাত উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘শিশুদের ভবিষ্যত নিরাপদ করতে এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সম্ভাবনা নতুন আঙ্গিকে শুরু করছে অনিন্দিত নারী কার্যক্রম। যার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরির পাশাপাশি করোনায় কর্মহারানো পুষ্পকলি স্কুলের শিশুর অভিভাবকদের আয়ের পথ তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেলাই মেশিনে চলছে অনিন্দিত নারীদের প্রশিক্ষন এবং পণ্য তৈরি। একই সাথে চলছে পণ্য বিপণন কার্যক্রম যার মাধ্যমে মানসম্পন্ন পণ্যের পাশাপাশি নিশ্চিত হবে কর্মহীন নারী ও পুরুষ উভয়ের কর্মসংস্থান।
করোনাকালে কাজ হারিয়ে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি কাজ হারিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ অনেকটাই দিশেহারা। পুষ্পকলি স্কুলের শিশুদের পরিবারের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পরিবার কর্মহীন। বেশিরভাগ পরিবারের শহরে থাকা প্রায় অসম্ভব হলেও গ্রামের ভিটে মাটিঠুকু নেই। নিজেদের করার মত কোন কাজ নেই। তীব্র আর্থিক সংকটের কারনে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে শিশু শ্রম এবং শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সম্ভাবনা নিয়েছে ‘অনিন্দিত নারী’র উদ্যোগ।
সম্ভাবনার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘এবছর অনিন্দিত নারী প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ( পাবনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ) ১০০ জন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি পণ্য তৈরি ও বিপণনের মাধ্যমে নারীদের আয়ের পথ সৃষ্টি করা হচ্ছে। করোনার এই সংকটে সুবিধা বঞ্চিত এসব নারীদের পক্ষে পণ্য তৈরি এবং বিপণনের ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব। তাই কাজ শেখানোর পাশাপাশি তাদের তৈরি পণ্য বিপণনের ব্যবস্থা করছে সম্ভাবনা।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা