মাত্র ৬ মাসে উদ্যোগের সফলতা দেখিয়েছেন ফাতিমা আক্তার

0
উদ্যোক্তা ফাতিমা আক্তার

বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য ও মজাদার ফাস্ট ফুড ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে উদ্যোক্তা ফাতিমা আক্তারের ‘ইটস অ্যান্ড ট্রিটস’। সুস্বাদু ও উৎকৃষ্টমানের বেকারি পণ্য, কেক, ডেজার্ট, কোমল পানীয়সহ দেশীয় খাবারের স্বাদ ও ওয়েস্টার্ন খাবারের ভিন্নতা যোগ করে হোমমেইড খাবার পরিবেশনই উদ্যোক্তা ফাতিমা আক্তার ইমার লক্ষ্য।

ইমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। বসবাস করেন ঢাকায়। ইমা অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করছেন তিতুমীর কলেজে। অনার্সে পড়ার সময় আদমজী ইপিজেডে অনন্ত গ্রুপ, অনন্ত অ্যাপারেলসে অ্যাডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি করেছেন একবছর। এছাড়া বিটোপি গ্রুপ, রেমি হোল্ডিংসে ছিলেন আট মাস।

গল্পের প্রথম দিক নিয়ে ফাতিমা আক্তার বললেন, ‌”২০২০ সালে যখন করোনা ভাইরাস মহামারীতে লকডাউন ছিল তখন চিন্তা করলাম বসে না থেকে কিছু করা যায়। প্রথমে কিছু ভারতীয় ও বাংলাদেশি শাড়ি ও জুয়েলারি দিয়ে শুরু করি। কিন্তু আমি লাইভ করতে পছন্দ করি না, তাই আর বেশি দূর ব্যবসাটি ধরে রাখতে পারিনি। রান্নার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল আমার। অনেকেই আমাকে ফুড নিয়ে কাজ করতে বলতেন। প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম পারবো কি না? পরে ভাবলাম, পারবো। বাঙালি রান্নার পাশাপাশি আমার বেকিং-এর প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল।  তাই আর দেরি না করে অনলাইনে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ‘জয়া এন বেকিং জয়’এর জয়া আপু ও সিরাজুম মনিরা আপুর কাছে বেকিং প্রশিক্ষণ নিলাম। তিন মাস শিখে এবং রেকর্ডেড ক্লাস করে পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই প্রফেশনে নামবো। এরপর ২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে আমার যাত্রা শুরু চট্টগ্রাম থেকে। শুরু হয় আমার হোমমেড বেকার Eats & Treats এর উদ্যোগ।”

ফাতিমা আক্তার ইমা প্রথমে ৩,৪০০ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন। বেকিং জিনিসপত্র কেনার পর আস্তে আস্তে অনেক কিছুই আগে নিজে বাসায় বানিয়ে চেষ্টা করেন এরপর বিক্রি করেন। মূলত তিনি কাস্টমাইজড কেক, চকলেট ফাজ ব্রাউনি, মেকারন, মুজ কেক, ময়েস্ট কেক ও পেস্ট্রি, শোমিজ ডিলাইট পেস্ট্রি, কাপ কেকস, টাব কেক, স্যাফরন পুডিং, এগ পুডিং, মালাই কেক, মালাই জর্দা, বিভিন্ন ফ্লেভারের মুজ, এসোর্টেড পেস্ট্রি,  এরাবিক শোরনা,  পিজ্জাপেটিস, লাড্ডু, পায়েস, হোমমেড লাচ্ছা সেমাই, আচার তৈরি ও বিক্রি করেন। Eats & Treats ফেসবুক পেজের মাধ্যমে  অর্ডার নিয়ে বিক্রি করে থাকে। যেহেতু এটা হোমমেড প্রডাক্টের বিজনেস তাই আপাতত নিজে একাই কাজ করেন। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যায় তার খাবার।

তিনি বলেন: কিছুটা প্রয়োজন, কিছুটা শখ ও কিছুটা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। বেকিং আমার খুব প্রিয় তাই এই পণ্য নিয়ে কাজ করছি। এখন আমাদের দেশের মানুষও খুব রুচিশীল হয়ে গেছে।

তরুণদের উদ্দেশ্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, “প্রতিটি মানুষের একটা পরিচয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিজের পরিচয় তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে হবে। সততার সাথে এগোতে হবে।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন নিজের একটি  প্রতিষ্ঠান করার যা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অনেক মানুষ জানবে Eats & Treats নামে।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here