বিটিএমইই ফুড প্রডাক্টস, মসলা জগতে এক বিখ্যাত নাম আর সেই বিখ্যাত নামের পেছনের কারিগর মাহমুদা সুলতানা ইমন যিনি তার নিজের তৈরি মসলা নিয়ে সবার কাছে সমাদৃত।
বাবা কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা হওয়ায় কাজের শুরুটা তার সাথেই হয়েছিল। বাবার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় বাবা ভাবতেন অবসরে এমন কিছু করার যেটা নিজেদের তৈরীকৃত হবে এবং মানুষের নিত্য দিনের প্রয়োজন মেটাবে। আর সেই চিন্তা থেকেই তাদের পরিকল্পনায় এলো পিঁয়াজ, রসুন, আদা পেস্ট করে কিভাবে বাজারজাত করা যায়। এরপর বাবার কাছ থেকে শিখে ২০১৪ সাল থেকে পার্টনারশিপ বিজনেস শুরু করেন ইমন এবং ২০১৮ সাল থেকে প্রোপাইটরশিপে বিজনেস করছেন দেশ এবং দেশের বাইরে।
বর্তমানে ১০০টিরও বেশী প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মসলা বানানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের এমন বেশ কিছু ইউনিক মসলা আছে যা আমার জানামতে বাংলাদেশে আমি সর্বপ্রথম বের করেছি এবং সম্পূর্ন আমার ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে করা।”
সেই শুরু থেকেই তাদের উৎপাদিত মসলা গুলোর গুণগতমান বজায় রেখে সম্মানের সাথে বাজারজাত করে আসছেন তিনি । তার উৎপাদিত মসলাগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন নামিদামি সুপারশপে পাওয়া যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসিআই লজিস্টিক (স্বপ্ন)-র সাথে কাজ করার সুযোগও পেয়েছেন উদ্যোক্তা ইমন। তিনি স্বপ্ন সুপার শপে ম্যানুফ্যাকচার করে দিচ্ছেন পাশাপাশি অনলাইন মার্কেট যেমন-চালডাল, আলেশা মার্ট, ঐক্যডটকমডটবিডি’র সাথে কাজ করে আসছেন ইমন।
তার কাজের জন্য তিনি সকলের ভালোবাসা সহ বেশকিছু সম্মাননা পেয়েছেন। যেগুলোর মাঝে উল্লেখ্য হলো:
১. বাংলার বীর ফাউন্ডেশন থেকে মসলা ক্যাটাগরি থেকে শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা;
২. চাকরি খুজব না চাকরি দেবো উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০২০;
৩. স্বাধীনতা সংসদ শাইনিং পার্সোনালিটি এ্যাওয়ার্ড ২০২১ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা;
৪. বাংলার কুঁড়ি শিশু সংগঠন থেকে বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা।
তার এই উদ্যোগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি জানান, “মসলা গুলোর গুনগত মান বজায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছানো এবং বিদেশে রপ্তানি করার স্বপ্ন দেখছি, যা কিনা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে এবং আমাদের এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পুরনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে পাশাপাশি কোয়ালিটির জন্য মানুষ স্যালুট করবে আমার বিটিএমইই ফুডকে।”
নারী, পুরুষ, নবীন, প্রবীণ নির্বিশেষে সকলেরই রান্না করতে হয়, খাবার খেতে হয় তাই বর্তমানে তার যতগুলো মসলা আছে তার বাইরে আরো ইউনিক এবং সহজলভ্য কিছু মসলা বের করতে চান যার দ্বারা সমাজের প্রতিটি মানুষ উপকৃত হবে পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা