হিকমেত কায়া অবসরপ্রাপ্ত বন প্রযুক্তিবিদ, যিনি একটি মরুভূমি অঞ্চলকে তুরস্কের একটি সুন্দর বনে রূপান্তরিত করতে ৩০ মিলিয়ন গাছ রোপণ করেন।
১৯৭৮ সালে তুরস্কের বন দফতরের কর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হিকমেত। দীর্ঘদিন উত্তর তুরস্কে বন দফতরের শীর্ষকর্তার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই সময়ে চোখের সামনে দেখতে পান কীভাবে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে অরণ্য। প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ছিলেন বন দফতরের অধিকর্তা,নিজের চোখে দেখেছেন কী ভাবে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে অরণ্য। শেষমেশ পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন।
হিকমেত কায়া এবং তার দল গ্রামের চারপাশের অনুর্বর পাহাড়গুলিকে রূপান্তর করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিল। তিনি অনেক কষ্টের সম্মুখীন হন, কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি এবং তার লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যান। ৪১ বছরের সুদীর্ঘ প্রচেষ্টায় বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে মরুভূমির মতো জমিকে তিনি বদলে দিলেন ঘন সবুজ অরণ্যে,বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বন্ধ্যা ভূমিকে বদলে দিলেন অরণ্যে।
যদিও তিনি 2002 সালে অবসর নিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার পরেও উনিশ বছর ধরে লাগাতার বৃক্ষরোপণ করে চলেছেন তিনি।
হিকমেত কায়া চিত্তাকর্ষক পরিবেশগত কৃতিত্বের পিছনে প্রধান চালিকা শক্তি হিসাবে প্রশংসিত হচ্ছেন,আজ তাকে কিছুটা স্থানীয় নায়ক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তুরস্কের বন দফতরের প্রাক্তন অধিকর্তা হিকমেত কায়া,বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বন্ধ্যা ভূমিকে বদলে দিলেন অরণ্যে। স্বপ্ন সফল করতে পেরে নিজেও খুশি হিকমেত। গোটা বিশ্বেই যখন রোজ কমছে অরণ্যের পরিমাণ,তখন একজন মানুষের এমন কাজ আদায় করে নিচ্ছে কুর্নিশ।