১৭ বছরের একজন শিক্ষার্থী স্বপ্ন দেখে ভাল কলেজে ভর্তি হওয়ার, নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার। কিন্তু কেউ যখন বিল গেটস এবং স্টিভ জবসকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে টেকনোলজি দিয়ে ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে তখন কেমন শোনায়? হ্যাঁ এইসব কিছু ঘটেছে একজন ২৪ বছর বয়সি তরুণের জীবনে। তিনি ষভ লওনিয়ার, আসুন জানি তার জীবনের সেই অবিশ্বাস্য গল্পটি !
এসটিডি ১২ পরীক্ষার শেষে লম্বা ছুটির সময়ে তিনি তার প্রথম নিজের তৈরী করা সংস্থা চালু করেন। যেটির নাম ছিল ‘রেড কার্পেট ইভেন্টস’। এই কোম্পানির মধ্য দিয়ে তিনি জয়পুর এবং দিল্লির মধ্যে ৭০ টির বেশি অনুষ্ঠান সম্পাদন করেছিলেন। তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন টেকনোলজির গুরুত্ব সম্পর্কে। কিন্তু মজার বিষয়টি হচ্ছে, তার টেকনোলজি সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞান ছিল না। তবুও তিনি এটা সম্পন্ন করেছিলেন।
যেহেতু ছাত্র অবস্থায় তিনি এই ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেছিলেন সেহেতু তার মূলধনের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তখন তিনি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। কারণ তিনি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন?
২০১৩ সালে তিনি জাসগেটআইটি চালু করেন যেটির মাধ্যমে সকল মুদি পণ্য ক্রেতাদের নিকট পৌঁছে দেয়া হতো। তিনি প্রায় ৩০ জন বিক্রেতা এবং অনেকগুলো দোকানদারকে একত্রিত করেছিলেন। যাতে করে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করা যায়। তবে এই কাজে তারা ব্যর্থ হয়, কেননা ঐ সময় বিগ বাস্কেট এবং গ্রোফাস পুরো বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলো।
প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস প্রতিষ্ঠানটি চলার পর তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে এখান থেকে তারা অনেক কিছু শিখতে পারে। প্রথমটি ছিল আয়-ব্যয় নীতি ব্যবহার না করা, বাজার জরিপ না করা এবং মূলধনের ঘাটতি। তবে ষভ লওনিয়ার বলেন তখন মূলধন সংগ্রহ করার সুযোগ ছিল, তবে আমরা সেই বিষয়গুলো জানতাম না।
পর পর দুটি সম্ভবনাময় দিকে ব্যর্থ হবার পরও তিনি দমে যাননি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, নতুন সম্ভাবনাময় দিক খুঁজে বের করতে। ২০১৫ সালে ষভ চিন্তা করে, কোন স্থিতিশীল ব্যবসা করার জন্য। তখন তিনি চালু করেন এক্সলার৮ । এটি হচ্ছে একটি ডিল সোর্সিং এবং স্টার্ট-আপ গবেষণা প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীরা এটিকে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করতো। এইবার তিনি সফল হলেন এবং মিলিয়ন টাকার মতো মুনাফা অর্জন করলেন। ষভ লওনিয়া এমনই একটি নাম, যিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সেই মিলিয়নিয়ার হয়ে যান, তার এই অসাধারণ গল্পটি সত্যই অনুপ্রেরণীয়।
মো. হৃদয় সম্রাট