বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে। নারীদের আত্মনির্ভরশীল হবার অদম্য প্রয়াস আর ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
এমনই এক ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা সামসুন নাহার। যিনি নানান প্রতিকূলতাকে জয় করে বাঁশের তৈরি নানান আসবাবপত্র বানিয়ে নিজে হয়েছেন স্বাবলম্বী, সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থান, অর্জন করেছেন অনেক খ্যাতি।
১৯৯৯ সালে অনেকটা ছোট্ট পরিসরেই ৬ জন দক্ষ কারিগর নিয়ে যাত্রা শুরু তার। ১০০ টি বাশঁ নিয়ে আসবাবপত্র তৈরির মাধ্যমে কাজ শুরু করার পর অর্ডার আসতে শুরু করে। কিন্তু পুঁজির অভাবে অর্ডারগুলো ডেলিভারি দিতে পারছিলেন না উদ্যোক্তা।
কাজের গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে কারিগর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়তে শুরু করলো উদ্যোক্তার কাজের পরিধি।
টিনশেড এর সিলিং থেকে শুরু করে দোকান ডেকোরেশন, শীতল পাটির সিলিং, ফুলদানি, কলমদানি, জুয়েলারি বক্স, ওয়ালমেট, ছাতা, ল্যাম্পশেড, বেতের ডালা, বাঁশের তৈরি ঘর, অত্যন্ত সূক্ষ্ণ ও দক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরী করে থাকেন উদ্যোক্তা। পাশাপাশি ‘সাইফুল টেইলারিং এন্ড হস্তশিল্প’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন উদ্যোক্তা, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও ৬ জন দক্ষ কারিগরের।
সামসুন নাহার সিলেট উইমেন চেম্বারের পরিচালক পদে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তা তার পণ্যকে সবার সামনে তুলে ধরতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন উদ্যোক্তা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। দৃষ্টিনন্দন পণ্য এবং ক্রেতাদের চাহিদায় হয়েছেন পুরস্কৃত, অর্জন করেছেন নানান পদক।
সামসুন নাহার ইউবি প্রেসকে জানান, “আমি ভবিষ্যতে এই বাঁশ বেতের পণ্য বাংলাদেশ তথাপি বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চাই এবং আমার এই কুটির শিল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যাক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চাই”।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা