রাজধানীর উইমেন ভলেন্টারি এসোসিয়েশনে শুর হলো দুদিনব্যাপী বেঙ্গল সিস্টার হুড কনসোর্টিয়ামের উদ্যোক্তা হাট। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বড়দিন উপলক্ষে এই আয়োজন শুরু হলো।
প্রতিবারের মত বেঙ্গল সিষ্টারহুড কনসোর্টিয়াম উদ্যোক্তা হাটের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ওমেন ভলেন্টারি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর অনামিকা হক লিলি। উদ্যোক্তা হাটের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে নারীদের কে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ দেয়া। তাদের স্লোগান হলো আর্থিক ও মানসিক দৃঢ়তায় নারীর মুক্তি।
বিজয়ের এই ৫০ বছরে নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। সবাই এখন ঘর সামলে নিজ উদ্যোগের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি সকলের সামনে উপস্থাপন করছেন। এই উদ্যোক্তা হাটে ২৫ টি স্টলে ৩০ জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। যারা দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। বেঙ্গল সিস্টার হুড কনসোর্টিয়ামের কর্ণধার শারমিন খান অরণ্য জানান, “যেকোন উৎসবে বা, উপলক্ষ্যে আমরা উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। এরই ফলস্রুতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বড় দিন উপলক্ষে আমাদের এবারের আয়োজন। আমরা প্রতি মাসেই উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি মেলা অথবা মিটআপের আয়োজন করি। আমি মনে করি নারীর জন্য অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হবার সাথে সাথে মানসিক ভাবে ভালো থাকাটা খুব প্রয়োজন।”
উদ্যোক্তা হাটে অংশগ্রহণ করা উদ্যোক্তা সানোয়ারা সানু যিনি সানুস বাঙালিয়ানা পেইজের ওনার। তিনি জানান “আমি মনিপুরী শাড়ী নিয়ে কাজ করছি।আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য কে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করতে চাই।” উদ্যোক্তা সুজানা হক জানান “এই ধরনের আয়োজনে আমাদের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক তৈরী হয় সেটা আমাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে খুব ভালো ভূমিকা রাখে।আমি সিলেট এর চা নিয়ে কাজ করছি।এর সাথে সাথে আমার ব্লকের ড্রেস তো আছেই।আমি মনে করি এই উদ্যোক্তা হাটের দুদিন ব্যাপী আয়োজনে ভালো একটা অভিজ্ঞতার সংযোজন হবে।” উদ্যোক্তা হাটে অংশগ্রহণ করা উদ্যোক্তা শতাব্দী সরকার জানান “কাঠের গহনার প্রতি একটা ভালোবাসা অনেক ছোটবেলা থেকে তাই কাঠের তৈরী টিপ,বালা,গলার মালা নিয়ে কাজ করছি। উদ্যোক্তা হাটে অংশগ্রহণ আমার কাজের পরিধি আরও বাড়িয়ে দিবে।”
উদ্যোক্তাগণ আলোচনা ও মত বিনিময় করেন এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা