মজিবুর রহমান টুটুল পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার এবং একজন সফল উদ্যোক্তা। প্রায় ১৫ বছর তিনি “বুনি সুতা” অনলাইন ও শো-রুম ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করেন।
শুরর দিকটায় উদ্যোক্তা নিজে প্রথম দিকে ৬০-৭০ হাজার টাকা লোন নিয়ে বিজনেস শুরু করেন। এবং পরে আল আরাফা ব্যাংক থেকে আরো ৮ লাখ টাকা লোন নিয়ে কাজ করেন যা কিনা কয়েক মাসের মধ্যেই শোধ হয়ে যাবে।
উদ্যোক্তা ইস্কাটনের একটা দোকান সুখ সারিতে সাপ্তাহিক ভাবে কাজ করতেন এবং তিনি নকশী কাঁথার ওপর ডিজাইন করে প্রথম প্রাইজ পান এরপর থেকে নিজেই ভাবলেন কিছু একটা করবে যেহেতু তিনি আর্ট পারেন। তাই যেমন ভাবনা তেমন কাজ নাম ও দিলেন ‘বুনি সুতা’সুতা দিয়ে বুনে বুনে কাজ করতে হবে তাই নাম দেন বুনি সুতা।
ব্যবসা শুরু করার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি উদ্যোক্তা টুটুলকে।নিজ হাতেই ডিজাইন করেন সব কিছুর। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কুশন, জানালার পর্দা, শাড়ী, ওয়ান পিস কামিজ এছাড়াও হাতে তৈরী বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায় ‘বুনি সুতা’য়।
ব্যবসার লাভের টাকা দিয়ে তিনি ৫টি শাখা খুলেছিলেন বিভিন্ন জায়গায় শো-রুম দিয়ে।বর্তমানে ২ টা শো-রুম চালু আছে।তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ৩০০ জন নারী। তবে এই উদ্যোক্তার উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুটা যত সহজ ছিলো এখন ঠিক তার ব্যতিক্রম।
টুটুল উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, এখন মানুষের দেশি জিনিসের ও পর চাহিদা কমে যাচ্ছে শুরুর দিকে মানুষের চাহিদা ছিলো প্রচুর বিক্রি হতো কিন্ত এখন বিভিন্ন বিদেশি পোশাকের ভিড়ে দেশি পণ্য হারিয়ে যেতে বসেছে।
সবাই এখন বিদেশি পণ্যের দিকে ঝুকেছে। আগে একটা শ্রেণীর লোকএই দেশি পণ্য গুলো পরতেন।কিন্তু এখন শিল্পপতি থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মী সবাই এক ড্রেস পরে, বিদেশি ড্রেস।
তবে এখন আবার কিছু মানুষ দেশি পণ্যের দিকেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ব্লক প্রিন্ট, তাঁতের থ্রি-পিস, শাড়ী এখন মোটামুটি ভালো ব্যবসা চলছে। তবে আমার ডিজাইন করা শাড়ি ও ওয়ান পিস কামিজ ভালোই বিক্রি হয়।
অসুবিধার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনলাইন বিজনেস যার কারণে সব টাকা হাতে পায় না। যার কারণে ব্যবসায় লস হচ্ছে। বিভিন্ন মেলায় আমার কাছ থেকে কিছু মহিলা পাইকারী নিয়ে যায় তারা ভালো যায়গায় দেয় কিছু টাকা দিয়ে নিয়ে যায় পরে আর বাকি টাকা দেয় না।
উদ্যোক্তার শুরুর দিকে অনেক লাভ হতো কিন্তু এখন খুব একটা লাভ হয় না কারণ দেশের পরিস্থিতি, ম্যানেজমেন্ট খরচ এবং লেবার খরচ ও আনুসাঙ্গিক খরচ বেড়েছে তাই আগে এতো খরচ ছিলোনা তাই লাভটা বেশি হতো।
তিনি বলেন, আমরা প্রতি পণ্যের উপর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ করি কিন্তু আমার কাছ থেকে ৬৫০ টাকা করে পাইকারী কিনে সেগুলো আড়ং, আর্বতন, এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের দোকান গুলো ১২০০ থেকে ১৭০০ করে বিক্রী করে। ওরা অনেক লাভ করে।সেই তুলনায়লাভটা কম হয় এখন।
উদ্যোক্তা মজিবুর রহমান টুটুলের পনেরো বছর আগের ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে শুরুর ব্যবসা এখন লাভে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা।
খাদিজা ইসলাম স্বপ্না