বিশ্বরঙের নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘উদ্যোক্তা ভূমি’-র আয়োজনে ১৬ নবীন উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে ব্র্যান্ডটির বনশ্রী আউটলেটে ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে ‘শরৎ হাওয়া’ শিরোনামে দুই দিনের পণ্য প্রদর্শনী।
রবিবার সকাল থেকেই জমজমাট ছিল বিশ্বরঙের বনশ্রী আউটলেট। ব্র্যান্ডটির নিজস্ব পণ্যের পাশাপাশি শোরুমের বড় একটা অংশজুড়ে বাছাইকৃত পণ্যের পসরা সাজিয়ে উপস্থিত হয়
নবীন উদ্যোক্তারা।
প্রদর্শনীতে ছিল বৈচিত্র্যময় ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের পোশাক – ঐতিহ্যবাহী জামদানি, তাঁতের শাড়ি,পাঞ্জাবি, কামিজ, মনিপুরি শাড়ি, মনিপুরি ব্যাগ, বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালের ন্যাচারাল ডাই, ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট ও হাতের কাজের নজর কাড়া ডিজাইন। গয়না, ব্যাগ ও ঘর সাজানোর পণ্য আছে কয়েকজন উদ্যোক্তার।
বাদ যায়নি হাতে বানানো রেজিনের তৈরি উপহারসামগ্রী। আধুনিক গ্যাজেটস নিয়েও উপস্থিত আছেন তরুণ এক উদ্যোক্তা।
রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় এক উৎসবমুখর পরিবেশে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, অভিনয়শিল্পী রোজী সিদ্দিকি, চলচ্চিত্র ও নাটক পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, কেশ–বিশেষজ্ঞ কাজী কামরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ ফ্যাশন সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান।
এছাড়াও ছিলেন বিশ্বরঙের কর্ণধার ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহার ।
উদ্যোক্তাদের নকশা থেকে শুরু করে উৎপাদন, বিপণন পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মাধমে অনুপ্রেরণা দিতেই বিশ্বরঙ নতুন উদ্যোক্তাদের নিয়ে তৈরি করেছেন বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি ।
বিশ্বরঙের উদ্যোক্তা ভূমি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ অন্যান্য জেলা থেকে বাছাই করেছেন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তাকে। তাঁদের পণ্য যাচাই-বাছাই করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা। পণ্যের গুণগত মান, কোথা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা যায় — এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। পণ্যনকশা থেকে ব্র্যান্ডিং সব ব্যাপারে তাদের প্রস্তুত করেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।
দুই দিনের এই আয়োজনে দৃষ্টিনন্দন পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে রোদসী, পরিণীতা ফ্যাশন, ফ্লেয়ার, সাজো বাই সানজানা, তাস হ্যাঙ্গার, আমি আমরা, নান্দনিক কালেকশন, আকৃতা’স ক্রিয়েশন, মম ফানুস, যোহরা’স ভ্যানিটি, দ্য সলি, ক্রাফট ওয়ার্কস, এনএন বুটিক, ডোনাস হিউ, মিতার গল্প ও আরু —এই ১৬টি অনলাইনভিত্তিক লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন উদ্যোগ।
বিপ্লব সাহা বলেন, বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি তৈরি করেছি সৃজনশীল শিল্পীদের নিয়ে। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি – কোনটা ভালো আর কোনটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ডিজাইন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, বিপণন-সব দক্ষতা তারা রপ্ত করুক, এটাই আমি চাই। শরৎ হাওয়া প্রদর্শনীতে নিজস্ব ডিজাইন প্রদর্শন করছেন উদ্যোক্তারা। পরে এগুলোই ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে বলেই আমার প্রত্যাশা। আগামীতে উদ্যোক্তা ভূমি নতুন উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই ধরনের আরো আয়োজন করবে। নতুনদের পথ চলায় উদ্যোক্তা ভূমি পাশে থাকবে।
২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ‘শরৎ হাওয়া’ চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্বরঙের বনশ্রী আউটলেটে।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা