‘চাকরি করবো না, চাকরি দেবো’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রাবণী আক্তার বন্যা। নারী হিসেবে নিজেকে প্রথাগত সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখার পক্ষপাতী নন তিনি।
যুক্তির আলোয় কুসংস্কারের অন্ধকার দূর করে বিশ্বজোড়া স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠা তার। যশোরের মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনে ডিবেট করতেন। সেখান থেকে পরিচিত বড় ভাইয়া ও আপুদের পরামর্শে মধু ও যশোরের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড় নিয়ে অনলাইন বিজনেসের যাত্রা শুরু করেন। প্রথম অবস্থায় তার পুঁজি ছিল মাত্র ৩০০ টাকা।
বর্তমানে ড্রাই ফ্রুটস, টমেটো চিপস, সাবু চিপস, মিক্সড চিপস, আলু চিপস, জিরা চিপস, ভুট্টা চিপস, চালের চিপস, চিজের চিপস, মিক্সড সাবু চিপস, গ্রিন চিলি চিপস, ঝুরি পিঠা চিপস, রসুন ফ্লেভার চিপস, খেজুরের গুড়, খেজুরের পাটালি, রসগোল্লা, নকশি কাঁথা, ইত্যাদি নিয়েই বেশি কাজ করছি। পাশাপাশি খাঁটি মধু ও বিভিন্ন সিজনাল পণ্য নিয়ে কাজ করছেন।
পণ্যের অর্ডার থেকে পণ্যের ডেলিভারি এমনকি হোম ডেলিভারি পর্যন্ত তিনি নিজেই করে থাকেন। অনলাইনে উদ্যোক্তার পেজের নাম ‘গ্রেইল ই-কর্মাস’। এ পর্যন্ত ইউএসএ তার পণ্য চিপস আইটেম ও মধু ডেলিভারি দিয়েছেন কয়েকবার। এছাড়া দেশের মধ্যে ৫৪টি জেলায় আমার পণ্য পোঁছে দিয়েছেন। মাসে অর্ডারের উপর নির্ভর করে তিনি পণ্য উৎপাদন করেন। প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন।
বন্যা উদ্যোক্তা হবার পিছনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন যশোরের ‘স্বপ্নদেখো সমাজকল্যাণ সংস্থার’ প্রতিষ্ঠাতা জহির ইকবাল নান্নুর কাছ থেকে। পাশাপাশি সবসময় পরামর্শ দিয়ে পাশে ছিলেন সানজিদা ইয়াসমিন ও আফরোজা খাতুন সহ অনেকেই। ভবিষ্যতে তিনি সকল ধরনের চিপস আইটেম ও নকশিকাথাঁ পণ্য নিয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চান। পাশাপাশি নারীদের উন্নয়ন ও দেশের কল্যাণে কিছু করতে চান।
উদ্যোক্তা বন্যার বাবা চাকরিজীবী, মা গৃহিনী। গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলাতে হলেও বড় হয়েছেন যশোরে। মাধ্যমিক শেষ করেছেন উপশহর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে। উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজে। বর্তমানে তিনি যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অর্নাস ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। এছাড়া তিনি যশোর স্টার্টআপের প্রচার সম্পাদক, মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনের সভাপতি ও এমএম কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাঈদ হাফিজ,
উদ্যোক্তা বার্তা