দেশের বাইরে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড জনপ্রিয় করতে স্থানীয় বড় শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি ২০২২-২৩ সালের বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ট্যাক্স হলিডেসহ বেশ কিছু সুবিধা প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন। স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় এমন এসএমই পণ্যকে সমর্থন দিতে অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থ বছরের বাজেটে একইরকম বিদেশি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি এসএমই খাতে কিছু কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছেন তিনি।
এসএমই খাতের বিকাশে উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ১০ বছরের জন্য করমুক্ত ঘোষিত হয়েছে বেশ কিছু খাত। এর মধ্যে আছে ফ্রুট প্রসেসিং, ভেজিটেবল প্রসেসিং, দুধ ও দুধজাত সামগ্রী, শিশুখাদ্য এবং কৃষি যন্ত্রপাতি।
একইসঙ্গে তিন বছরের জন্য ভ্যাট থেকে মুক্ত থাকবে কিচেন এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাত।
কল-কারখানায় ব্যবহার হবে এমন হালকা যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারীর জন্যও ১০ বছরের ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। শিল্প খাতে দক্ষ কর্মী বা উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে যারা প্রশিক্ষণ দেবেন তারাও একইরকম কর অবকাশ সুবিধার আওতায় আসবেন।
অন্যদিকে, ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার থাকা কোম্পানির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের কর দিতে হবে না।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, এসব ব্যবস্থার কারণে করোনা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় শিল্প নিজেদের আরও গুছিয়ে নিতে পারবে এবং আরও বিকশিত হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা