রাজশাহীতে বাছাই করা ৪০ জন উদ্যোক্তা নিয়ে রাজশাহীতে হাতে-কলমে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর জেলার সার্কিট হাউসে শুরু হওয়া এই কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল। আয়োজনের মূল বিষয় ছিল ‘পণ্য, পর্যটন, উদ্যোগ’।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সহযোগিতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল তার বক্তব্যে উদ্যোক্তাদের মাঝে আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
চাকরির পেছনে না ছুটে সকলকে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান। উদ্যোক্তাদের যে কোন প্রয়োজনে রাজশাহী জেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়াবে বলে সকলকে আস্বস্ত করেন তিনি।
এরআগে বুধবার ৩ নভেম্বর আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব ও এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড.দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দুই দিনব্যাপি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
জেলা ব্রান্ডিং কার্যক্রমের সক্ষমতা উন্নয়নে জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে’- এই ট্যাগলাইন নিয়ে হাতে- কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে বাছাইকৃত ৪০ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন।যাদের মধ্যে অনেক উদ্যোক্তা রাজশাহী সিল্ক, চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, হাতে তৈরি গহনা, খাদ্য, মাস্ক, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন।
জেলা ব্রান্ডিং সম্পর্কে উদ্যোক্তাদের জানানোর মধ্যে দিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয় এরপর একশপে কিভাবে কাজ করতে হবে এটি শেখানো হয়, পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন বিষয় তাদের জানানো হয় কি করে পর্যটন শিল্প থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন এই বিষয়ে ধারনা প্রদান করা হয় এবং তাদের পণ্যগুলোর ছবি অনলাইনে দেওয়ার জন্য ফটোগ্রাফির প্রয়োজন হয় কি করে ছবি উঠালে তা আরো চমৎকার ভাবে ফুটে উঠবে এই বিষয়েও উদ্যোক্তাদের হাতে- কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কর্মশালায় উদ্যোক্তারা তাদের তৈরি পণ্য সকলের সামনে প্রদর্শন করেন।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা আব্দুল গনি উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, এই ধরনের কর্মশালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে আমরা নতুন কিছু শিখলাম যা আমাদের উদ্যোগ কে আরো সামনে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত উদ্যোক্তা মুন্নি আক্তার বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমাদের হাতে- কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। অনেক কিছু শিখলাম, যার মাধ্যমে আগামীতে আরো এগিয়ে যেতে পারবো আশা করছি।
এটুআইয়ের উপসচিব এবং কনসাল্টেন্ট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম, একশপের কনসালটেন্ট জুনায়েদ আহমেদ, আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ আবির মাহমুদ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এটুআইয়ের মো. ওমর ফারুক এই ৪০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
এই ৪০ জন উদ্যোক্তাকে তারা গোল্ডেন উদ্যোক্তা ভাবছেন।তাদের নিয়মিত মনিটরিং করবেন বলেও জানান তারা।
তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা, রাজশাহী