পড়াশোনা শেষ করে স্বরুপা চৌধুরী পপি কখনোই চাকুরির কথা ভাবেননি। বরাবরই তার চিন্তা ছিল নিজে কিছু করবেন। নিজের পরিচয় তৈরি করবেন। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা চাইতেন বউমা বাসায় থাকবে সংসার সামলাবে। বাইরে কাজ করে বউ কি করবে?
কিন্তু মন চাইত যে নিজের পরিচয় তৈরি করতেই হবে। সেখান থেকে কাজ এর ইচ্ছা জাগে। কিন্তু পুঁজি তো খুব সামান্য। এত কম পুঁজিতে কি কাজ শুরু করা যায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি গাছের শেকড়-বাকড় অর্থাৎ ভেষজ উপাদান দিয়ে কিছুনা কিছু তৈরি করতেন। সেখান থেকে তিনি ভাবলেন ভেষজ উপাদান নিয়েই কাজ করবেন। মাত্র ৩৫০০ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন স্বরুপা হারবাল।
আস্তে আস্তে তিনি উৎপন্ন করতে থাকলেন হারবাল অয়েল, ক্রিম সহ আরো অনেক পণ্য। বিসিক সহ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন স্থানে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ব্লক বাটিক, টাইডাই আরো অনেক ক্ষেত্রে পুরস্কার ও পেয়েছেন অনেক৷ বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৭ জন নিয়মিত কর্মী। তিনি নিজে তো স্বাবলম্বী হয়েছেনই আরো অনেক মেয়ে কে করে তুলেছেন আত্মনির্ভরশীল।
দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে স্বরুপা হারবালের পণ্য। ভালো পণ্যের জন্য সুনাম কুড়াচ্ছেন সব জায়গায়। দুই ছেলের সহযোগীতায় এগিয়ে যাচ্ছে উদ্যোক্তা স্বরুপা চৌধুরী পপি। সময় স্বল্পতার জন্য অনলাইন পেইজে সময় দিতে পারেন না তিনি। অনেক বাধাবিপত্তি পার করে তিনি আজ সফল উদ্যোক্তা। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যতই বাঁধা বিপত্তি আসূক সকল বাঁধা কে জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে তাহলেই সাফল্যের চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব।
তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা