উদ্ভাবনী তরুণদের জন্য ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর চতুর্থ আসরের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আজ রোববার বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেন।

উদ্ভাবনী তরুণ প্রতিযোগীদের বাছাই করে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য আরও কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ‘বাংলালিংক ইনোভেটর্স’। প্রতিযোগিতা শেষে সুনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত চার সদস্য বিশিষ্ট বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হবে।

বিজয়ী দল বাংলালিংক-এর ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম’-এর ‘অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার’-এ যোগদানের সুযোগের পাশাপাশি পাবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ দলকেও এই প্রোগ্রামে যোগদানের সুযোগসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এছাড়া সেরা পাঁচ দলের প্রত্যেক সদস্য বাংলালিংক-এর ‘অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম (এআইপি)’-এ সরাসরি যোগদান করার পাশাপাশি “লার্ন ফ্রম স্ট্রার্টআপস” ও “ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট প্রোগ্রামস”-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের স্টার্টআপ ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিতে বিশেষ এই কার্যক্রম দুইটি পরিচালনা করে আসছে বাংলালিংক।

ইউজিসি অনুমোদিত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা https://ennovators.banglalink.net ভিজিট করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। আগামী ২৪ অক্টোবর, ২০২০ পর্যন্ত বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এ রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কয়েক বছর আগে বাংলালিংক ইনোভেটর্স শুরু করেছিলাম। পরপর চার বছর প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।’

তিনি বলেন, ‘‘প্রতিভাবান তরুণরা এর মাধ্যমে আবারও তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। আগের বছরগুলিতে যেসব প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে অনেকে বাংলালিংক-এ ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেছে। কিছু সংখ্যক প্রতিযোগী ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম’-এ যোগ দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিতে অবদানও রাখছে। আমরা আশা করছি, এই বছরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিযোগী বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এ যোগদান করবে।”

বাংলালিংক-এর ব্র্যান্ডস অ্যান্ড কম্যুনিকেশনস ডিরেক্টর কাজী উরফি আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তি প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তাই গ্রাহকদের জন্য নতুন ডিজিটাল সেবা নিয়ে আসার পাশাপাশি উদ্ভাবনী ডিজিটাল ভাবনাকেও আমরা স্বাগত জানাই।’

‘‘আমরা বিশ্বাস করি, তরুণরা প্রজন্ম এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ তারা ভিন্ন আঙ্গিকে নতুন নতুন চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসতে সক্ষম। বাংলালিংক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পেরে গর্বিত যেখানে তরুণেরা তাদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা প্রদর্শনের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবে’’, যোগ করেন তিনি।

বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর প্রথম তিনটি আসরে প্রায় ৪০,০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সটিতে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলালিংক-এর হেড অফ ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট আয়েশা সাঈদ।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here