আদি ও মধ্যযুগীয় বাংলার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ছিল হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প। বয়ন, ধাতব পদার্থের কাজ, জুয়েলারি, বিশেষ করে রুপার তৈরি অলঙ্কার, কাঠের কাজ, বেত এবং বাঁশের কাজ, মাটি ও মৃৎপাত্র হস্ত শিল্প হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলো। বাংলার সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে চারঘাট রাজশাহীর রাশেদ আহমেদ একজন।
বর্তমানে বাঙ্গালীরা পহেলা বৈশাখকেই বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে কেবল উদযাপন করে। রাশেদ আহমেদ চেয়েছেন বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে হস্ত ও কুটির শিল্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে।
২০১৩ সাল। প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হয় রাশেদের পথ চলা। বাঁশের খিল, কাপড়, সুতা ও বিভিন্ন পুথি দিয়ে নৌকা, পালকি আয়না, পাখা, ডোরবেল তৈরি করলেন। কিন্তু বিক্রি করবেন কোথায় ! ঢাকায় এক বড় ভাইয়ের কাছে নিয়ে যান। পণ্যগুলো পছন্দ করে নিয়ে নেন সেই ভাই। চলতে থাকে রাশেদের ব্যবসা।
এলাকার বেশ কিছু নারীদের কর্মসংস্থান হয় তার কারখানায়। রাজশাহী ওয়েব এর প্রেসিডেন্টের পরামর্শে উদ্যোক্তা বিভিন্ন এসএমই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। বেশ পরিচিতি লাভ করে পণ্য গুলো।
ব্যবসার প্রসারের জন্য দরকার ছিলো মূলধন। কিন্তু সাড়া মেলেনি কোন ব্যাংক থেকে। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। আজ নয়ত কাল হবেই হবে।
তরুণ উদ্যোক্তা রাশেদ ইউবি প্রেসকে জানান, “আজ আমার কারখানায় প্রায় অর্ধশত কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমি চাই হাজার হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান হবে এখানে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের আয়না, ছবির ফ্রেম, বাঁশের ল্যাম্প, নারিকেল ল্যাম্প, কাপড়ের পার্স, নৌকাসহ নানান ধরনের পণ্য তৈরি করছেন। বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তা রাশেদ আহমেদ।
রাজশাহী থেকে রাইদুল ইসলাম শুভ
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা