রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এফবিসিসিআই আয়োজিত চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের দ্বিতীয় দিনে রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে তৈরি পোশাক খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় ও করণীয় বিষয়ে এক সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সর্বাত্মক পরিবেশ রয়েছে। সরকার যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। নতুন নতুন সড়ক ও ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। আমরা পদ্মাসেতু করেছি নিজের টাকায়, ফলে যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে৷ সরকার বিনিয়োগকে সহজ করেছে। দেশে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ব্যবসাবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী তৈরি পোশাক খাতকে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছেন। করোনায় যেখানে সারাবিশ্ব থমকে গিয়েছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রী এ খাতকে সচল রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছিলেন। এজন্য আমদের রফতানি খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা বাড়ছে। গত বছর আমরা ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছি। আশা করি, আগামীতে আমরা গার্মেন্টস থেকেই ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করবো।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সংকট সমাধানে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হয়েছে। দেশের শিল্প-কারখানায় এরই মধ্যে জ্বালানির সরবরাহ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শিল্প-কারখানায় গ্যাসের সংকট কেটে যাবে৷ কারখানাগুলোতে আগের চেয়ে আরও বেশি গ্যাসের চাপ পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিটিএমএ পরিচালক আজিজুর আর চৌধুরী, বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ আশরাফ, ওয়ালমার্টের সিনিয়র ডিরেক্টর দেবী কালাভাকোনালো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা