চিলার হল এমন একটি রেফ্রিজারেশন ডিভাইস যা ভ্যাপার কমপ্রেশন অথবা ভেপার অ্যাবজর্পশন রেফ্রিজারেশন সাইকেলের মাধ্যমে প্রসেস ফ্লুয়িড থেকে তাপ অপসারণ করে। প্রসেস ফ্লুয়িড সাধারণত পানি অথবা পানি ও গ্লাইকোল মিশ্রণ হয়। এই প্রসেস ফ্লুয়িড হিট এক্সচেঞ্জারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করে যন্ত্রপাতি, খাবার ইত্যাদি ঠাণ্ডা করা হয়।
সহজ ভাবে বললে যে কোন স্থানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিতভাবে কমানোর জন্য চিলার ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ শিল্প কারখানা, হোটেল, হাসপাতাল, অফিস বিল্ডিং এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, মেটাল ফিনিশিং, ইলেক্ট্রোপ্লেটিং ও ইলেক্ট্রোলেস প্লেটিং এর সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ।
ইনজেকশন মোল্ডিং এর সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এছাড়াও কাগজ ও সিমেন্ট প্রসেসিং, পাওয়ার স্টেশন, ভ্যাকুয়াম সিস্টেম, এমআরআই মেশিন ও লেজার শীতলীকরণ ইত্যাদি কাজেও চিলার ব্যবহার করা হয়।
চিলার মূলত ২ প্রকার- ভেপার অ্যাবজর্পশন টাইপ চিলার ও ভেপার কমপ্রেশন টাইপ চিলার।
সেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এয়ারকুল চিলার তৈরি করে রেকর্ড গড়ল আরনেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যারা ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে চিলারসহ কুলিং সম্পর্কিত সবধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করে আসছে।
গত দশ বছরের এই যাত্রায় এটাই ছিল আরনেস্টের তৈরি সব চেয়ে বড় এয়ারকুল চিলার। এই আরনেস্ট ডে উদযাপনের লক্ষ্যে পুরো আরনেস্ট পরিবার এক সাথে মিলিত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত আরনেস্টের ফ্যাক্টরিতে।
বিগত বছরগুলোর সুখ দুঃখ, আনন্দ বেদনা, ভালো খারাপ দিক গুলো এবং ভবিষ্যৎ পরকল্পনা সহ যাবতীয় সকল কিছু নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন আরনেস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মামুনুর রশিদ, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আক্তারুজ্জামান সোহাগ, মার্কেটিং ডিরেক্টর পার্থ পোদ্দার, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার এস কে জব্বার আলি ও ভারত থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছিলেন আরনেস্টের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা আলি রেজা আক্তারুজ্জামান। পুরো প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করেন শাহিদ শাওন।
চিলারের পাশাপাশি আরনেস্ট ডিহিউমিডিফায়ার- কুলিং টাওয়ার, কোল্ড রুম, ক্লিন রুম, এইচভিএসি, এয়ার ড্রাইয়ারসহ সব ধরনের কুলিং রিলেটেড পণ্য নিয়ে সাফল্যের সাথে কাজ করে আসছে।
বাংলাদেশে তৈরি এইসব পণ্য শীঘ্রই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়াবে বলে আশা ব্যক্ত করছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা