বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি বলেছেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সুসংহতকরণে সদা সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে সরকার কাজ করছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ এর সাথে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানদের আগামী ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার (১৪ জুন) এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাবৃন্দসহ দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সম্পাদন সভায় মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দপ্তর/সংস্থাসমূহে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়ন এবং এর মাধ্যমে সফলতার সাথে দ্রুতগতিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি), ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ডেল্টা প্লান এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
মন্ত্রী আশা করেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি(এপিএ) প্রত্যেককে কর্মমূখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত হতে সাহায্য করবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া কাজ আরো বেগবান হবে।
মন্ত্রী বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর/সংস্থা প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক ও যৌক্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন। এছাড়াও তিনি প্রত্যেককে তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা