পাঁচ দিনের বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ২০২২ উদ্বোধন করে বহুমুখী পাটপণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে বেশি বেশি প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেছেন, যতো পারেন পাটপণ্য মেলার আয়োজন করেন।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলস্থ করিম চেম্বারে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) আয়োজিত পাঁচ দিনের মেলা শুরু হয়েছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেডিপিসি দেশ-বিদেশে বহুমুখী পাটপণ্য জনপ্রিয় করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রেখা রাণী বালোর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, জেডিপিসি’র মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিচ্ছে। সে লক্ষ্যে উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে বেশি যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে। এক্সপো-২০২০ দুবাইসহ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মেলায় বহুমুখী পাটপণ্যের প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করেন। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রফতানি করতে উৎসাহী হবেন। মেলা হলে উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন। অনেক উদ্যোক্তাই দেশের বাইরে যেতে পারেন না। মেলা হলে তারা লাভবান হন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তু (পলিথিন)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতার কারণে পাটখাতের হৃত ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধশালী করা সক্ষম হয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, স্টলগুলো পাটের তৈরি নানা পণ্যসামগ্রীতে ভরা। কী নেই সেখানে? পাটের তৈরি টেবিল মেট, শো-পিস, শিশুদের খেলনা, জুতা, কুশন খাবার, মাদুরের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন রয়েছে, তেমন ঘর সাজানোর নান্দনিক সব পণ্য স্থান পেয়েছে মেলায়।
করিম চেম্বারে চলমান পাঁচদিনের প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন তারা।
মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা